শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে না: শিক্ষামন্ত্রী

সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বন্ধ রয়েছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ধীরে ধীরে জনজীবন স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। এখন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে কবে খুলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান?

এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী জানিয়েছেন, শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে না।

বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, এখনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পরিবেশ তৈরি হয়নি। এই মুহূর্তে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাই আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে পারছি না। শুধু শিক্ষার্থী বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বোঝায় না, প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্ষন্ত প্রায় ২ কোটি শিক্ষার্থী রয়েছে, তাদের অভিভাবক রয়েছে। এদের নিরাপত্তা দরকার। প্রতিটা এলাকায় ডিসিদের আওতায় কারফিউ দেওয়া হচ্ছে। যখন ডিসিরা আশ্বস্ত করতে পারবে আর কারফিউ দিতে হবে না, তখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে হবে।

চলমান এইচএসসি পরীক্ষা শেষ করা সরকারের মূল অগ্রাধিকার বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ছাত্রদের আল্টিমেটাম দিয়ে তারা সরকারের চাপ সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। এভাবে আল্টিমেটামের মাধ্যমে খুনোখুনি হচ্ছে। তাহলে কি এ খুনোখুনির জন্য শিক্ষার্থীরা আল্টিমেটাম দিচ্ছে।

এদিকে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা প্রসঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি বুঝে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ‘ইঙ্গিতপূর্ণ’ বক্তব্যকে ঘিরে গত রোববার মধ্যরাত থেকে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশের ছাত্রসমাজ। এরপর সোম, মঙ্গল ও বুধবার টানা তিনদিন সারা দেশে ছাত্র আন্দোলন জোরালো হয়ে ওঠে। আন্দোলন দমাতে পুলিশের পাশাপাশি ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ ক্ষমতাসীনরা মাঠে নামে। এতে সারা দেশে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত ১৬ জুলাই সারা দেশে স্কুল-কলেজ-মাদরাসা-পলিটেকনিকসহ সব পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। একই সঙ্গে বন্ধ ঘোষণা করা হয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত মেডিক্যাল কলেজ, টেক্সটাইল, ইঞ্জিনিয়ারিংসহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এছাড়া, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সব কলেজও বন্ধ রয়েছে। পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে প্রাথমিক স্কুলও।