আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রাণঘাতি অস্ত্র ব্যবহার করেছে: অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল

ঢাকায় বিক্ষোভ চলাকালে একজনকে প্রকাশ্যে গুলি করার দৃশ্য

বাংলাদেশে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চলাকালে প্রতিবাদ দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রাণঘাতী ও মৃদু প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ করেছে মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমন অভিযোগ করেছে সংস্থাটি।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোটা আন্দোলন চলাকালে সংঘর্ষের ঘটনার পাওয়া ভিডিও ও ছবির ক্রমাগত বাচাই ও বিশ্লেষণে সেখানকার এক ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। সেইসাথে ছয় দিনের যোগাযোগ বিধিনিষেধের মধ্যেও কর্তৃপক্ষ বেআইনিভাবে বল প্রয়োগ অব্যাহত রেখেছে। প্রতিবাদ দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রাণঘাতী ও মৃদু প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার করেছে।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সিনিয়র ডিরেক্টর ডেপ্রোজ মুচেনা বলেন, 'বাংলাদেশ থেকে আসা ভিডিও ও ছবির ক্রমাগত যাচাই ও বিশ্লেষণে সেখানকার এক ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ সরকারের ভয়াবহ মানবাধিকার রেকর্ড এবং বিক্ষোভ দমনে মোতায়েন করা র্যাবপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের কর্মকান্ডে আশ্বস্ত হওয়া যায় না যে ইন্টারনেট বন্ধ করে (যেটি এখনো আংশিক বহাল আছে) আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণের অনুপস্থিতিতে আন্দোলনকারীদের অধিকার সুরক্ষিত থাকবে।'

জনসাধারণের প্রতিবাদ করার অধিকারকে সম্মান করতে এবং একইসাথে এই সহিংস দমন-পীড়ন বন্ধ করে অবিলম্বে যোগাযোগের ক্ষেত্রে সব

বিধিনিষেধ তুলে নিতে বাংলাদেশ সরকার এবং তার সংস্থাগুলোর প্রতি আহবান জনায় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

একইসাথে জরুরি ভিত্তিতে বিক্ষোভকারীদের মৃত্যুর সংখ্যা নির্ধারণসহ নিরাপত্তা বাহিনী যারা সাঘাটিত মানবাধিকার লঙ্ঘন বিষয়ে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে পরী পরী ব্যক্তিদের জবাবদিহিতার আওাতার আনার তাগিদ দের সংস্থাটি।

এছাড়াও বেআইনিভাবে পুলিশি বলপ্রয়োগের ফলে আহত ও নিহতদের পরিবারের সদস্যদের রাষ্ট্র থেকে পূর্ণ ক্ষতিপূরণ পাওয়া উচিত বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।