ঢাকার দেয়ালে স্লোগান: দিনে নাটক, রাতে আটক

দিনে নাটক, রাতে আটক। ঢাকার দেয়ালে এই স্লোগানটি লিখেছে প্রতিবাদী শিক্ষার্থী। দুই লাইনের স্লোগানটিতে বাংলাদেশে চলমান পরিস্থিতি পরিস্কার ভাওে ফুঁটে উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেল দেখতে গিয়ে কেঁদে দিচ্ছেন। পুলিশের গুলিতে আহতদের দেখতে যাচ্ছেন। নিহতদেও পরিবারকে ডেকে অর্থ দিচ্ছেন। আর রাতে সারাদেশের চলছে গণ আটক। ঘরে ঘরে ঢুকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। পুলিশের বিরুদ্ধে লুটপাটেরও অভিযোগ রয়েছে। বুঝাই যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের এমপি, মন্ত্রীদের উদ্দেশ্য করেই এই স্লোগানটি লেখা হয়েছে।

আরো নানা ধরনের প্রতিবাদী স্লোগান লেখা হয়েছে বিভিন্ন শহরের দেয়ারগুলোতে। হত্যা ও নির্যাতনে প্রতিবাদে রবিবার  গ্রাফিতি দেয়াল লিখন কর্মসূচি পালন করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সংগঠনের পক্ষ খেকে এই কর্মসূচিকে সফল দাবী করা হয়েছে। 

 

এর আগে শনিবার রাত ১০টায় আন্দোলনের সমন্বয়কদের সভায় এই কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়। ওই সময় জানানো হয়, ‘আন্দোলন বন্ধের কোনও সম্ভাবনা নেই। এতো মানুষের মৃত্যুর বিচার ব্যতীত আন্দোলন চলবে। রবিবার আমরা সারাদেশে দেয়াল লিখন ও গ্রাফিতি অংকনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

এর আগে গত শনিবার রাত ৮ টায় গুগল মিটে এক সংবাদ সম্মেলন করেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ। সেই সংবাদ সম্মেলন থেকেই দেশে গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীদের মুক্তি, গুম হওয়া শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে দেওয়া এবং দায়ের করা সব ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহারের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দাবি আদায় না হলে কঠোর কর্মসূচির দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন মাসউদ। 

তিনি বলেন, ‘আমরা সারাদেশে বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি পালন করেছি, কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি দিয়েছি। আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হলে কঠিন কর্মসূচি দিয়ে রাজপথে নামব। আমরা পালিয়ে থাকব না। আগামী পরশু দিন (সোমবার) আমরা রাজপথে নামব।

বিদেশে অবস্থানরত ভাই বোনদের উদ্দেশ্যে মাসউদ বলেন, ‘আমরা বিদেশে অবস্থানরত ভাইদের বলব, আপনারা হত্যার প্রমাণাদি সব রাষ্ট্রের কাছে পৌঁছে দেবেন।’

এদিকে আন্দোলনকারীদের বিভিন্ন ফেইসবুক পাতায় গত ১৬ জুলাই থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত সহিংসতায় মোট ২৬৬ জন নিহত হওয়ার তথ্য দেওয়া হয়েছে। এই তালিকায় পুলিশ, আনসার সদস্য ও সাংবাদিকদের নামও রয়েছে।