বিতর্কের মুখে সেনাবাহিনী: বিজ্ঞপ্তি দিয়ে গণহত্যায় সম্পৃক্ততা অস্বীকার

গণহত্যায় অংশ নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী। শিক্ষার্থী বিক্ষোভ ঠেকাতে বর্তমানে বাংলাদেশের সরকার সেনা মোতায়েন করেছে। অভিযোগ উঠেছে এই বিক্ষোভ দমন করতে গিয়ে গণহত্যায় জড়িয়ে পড়েছে সেনাবাহিনী। ঢাকার বিভিন্ন স্থানে নিরস্ত্র জনসধারণকে লক্ষ্য করে গুলি করতে দেখা গেছে সেনা সদস্যদের। সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর সেনাবাহিনীসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর হামলায় নিহতের সংখ্যা কেউ বলতে পারেনি। মৃতের কোনো হিসাব নেই। 

সেনাবাহিনীর ভূমিকায় সারাদেশেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। প্রবাসী বাংলাদেশীরাও বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ করেছেন। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশন থেকে সেনাবাহিনীকে বাদ দেওয়ার দাবী তুলেছেন। 

তারা বলছেন, যৌথ অভিযানের নামে পুলিশের গন গ্রেফতার ও ভাঙচুরে সেনাবাহিনীর সদস্যা পাহাড়া দিচ্ছে। পুলিশের আটক বানিজ্যের পাশে থাকছে সেনাবাহিনী। জাতিংসংঘের প্রতীক সম্বলিত এপিসি ও হেলিকপ্টার ব্যবহার করে নিরস্ত্র বিক্ষোকারীদের গুলি করেছে সেনা সদস্যরা। 

তবে রবিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে,সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার লক্ষ্যে বিভিন্ন বিদেশি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্বার্থান্বেষী মহল যে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর প্রচার চালাচ্ছে।

আইএসপিআর জানায়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, জনগণ ও সম্পত্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং জনজীবনে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিদ্যমান আইন মেনে চলছে। একই সঙ্গে দেশের সংবিধান সমুন্নত রাখার জন্য বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় কাজ করছে।

তবে সশ্লিষ্টরা বলছেন, বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার কথা বললেও সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে জনসাধারণকে লক্ষ্য করে পুলিশ নির্বিচারে গুলি করেছে। জনসাধারণকে রক্ষা না করে সেনাবাহিনী পুলিশ, বিজিবি, র্যাব ও ছাত্রলীগ, যুবলীগের হত্যাযজ্ঞে সহায়তাকারী হিসাবে অবস্থান করেছে।