সচিবালয়ে ভুতুড়ে অবস্থা

ফাইল ছবি

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের ঘোষিত অসহযোগ আন্দোলনে বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে সরকারের প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে। সচিবালয়ের বাইরে বিরাজ করছে উত্তপ্ত পরিস্থিতি। আর সচিবালয়ের ভেতরে খুব একটা দেখা মিলছে না বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও আমলাদের।
 
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরও উপস্থিতি অনেক কম চোখে পড়ছে। রবিবার দুপুরের দিকে সচিবালয়ে দর্শনার্থীসহ সাংবাদিকদের প্রবেশ সীমিত করা হয়েছে। এমনকি, সচিবালয়ের কর্মকর্তা, কর্মচারীদেরও ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। দুপুর ২টার পরেই যাতায়াত সমস্যার কারণ দেখিয়ে সচিবালয় ত্যাগ করতে শুরু করেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এখন সেখানে ভুতুড়ে অবস্থা দেখা দিয়েছে।
 
রোববার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টার মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রীর দপ্তরে গিয়ে তাদের পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে আছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী, যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, অর্থ প্রতিমন্ত্রী, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী, শ্রম প্রতিমন্ত্রী, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীসহ আরও কয়েকজন মন্ত্রী। তখন পর্যন্ত তারা কেউ মন্ত্রণালয়ে আসেননি বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
 
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী দপ্তরে না থাকার বিষয়ে একজন কর্মকর্তা জানান, গণভবনে জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক (এনএসসি) কমিটির জরুরি মিটিং থাকায় বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীসহ আরও কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী সেখানে যোগ দিয়েছেন। আর এ কারণেই সচিবালয়ে মন্ত্রীদের উপস্থিতি কম।
 
যদিও স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীকে তাদের নিজ নিজ দপ্তরে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি রুটিন কাজ করতে এসেছি। আমাদের কাজ মানুষকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া। আমরা জাতি, ধর্ম, বর্ণ, দল নির্বিশেষে সবাইকে সেবা দিচ্ছি।’
 
এদিকে সকাল থেকেই সচিবালয় এলাকা বেশ উত্তপ্ত। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না থাকায় দুপুর ১২টার পর থেকে মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে সচিবালয়ের সবগুলো প্রবেশপথ বন্ধ করে দেওয়া হয়। সচিবালয়ের বাইরে প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় পেশাজীবী নেতাকর্মীরা মানববন্ধনে দাঁড়ালে পুলিশ কোনো কথা না শুনেই টিয়ারগ্যাস মারতে থাকে। পেশাজীবীরা এজন্য রাস্তায় আগুন জ্বালান। এর একটু পরপরই গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দ আসায় সচিবালয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়।