সিলেটে আন্দোলনে পুলিশ-যুবলীগ-ছাত্রলীগের হামলা, নিহত ৭

সিলেটের বিভিন্ন জায়গায় দুপুর থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের ওপর পুলিশ-যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দফায় দফায় হামলা চালিয়েছে। এতে অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া এ ঘটনায় ৫ শতাধিক আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক (শাবিপ্রবি) আসাদুল্লাহ আল গালিব।

সিলেট নগরীর বন্ধর বাজার পয়েন্ট, কোর্ট পয়েন্ট ও জিন্দাবাজার সংলগ্ন রাস্তায় থেমে থেমে সংঘর্ষ চলেছে। এর আগে, পুলিশ আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে বেলা ১২টা থেকে টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়তে থাকে। এতে পুলিশের সহায়তায় ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতাকর্মীদের আগ্নেয়াস্ত্র, রামদা, হকিস্টিক, জিআই পাইপ, লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালাতে দেখা গেছে।

এদিন বেলা ১১টা থেকে অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দিতে নগরের কোর্ট পয়েন্টে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবক, সাধারণ জনতাসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। আন্দোলনকারীরা অবস্থান নেওয়ার আগে থেকেই একই এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ সাজোয়া যান নিয়ে অবস্থান নেয়।

আন্দোলনে বেলা ১২টা থেকে পুলিশ গুলি, রাবার বুলেট, টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

অন্যদিকে, পুলিশ টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ  করলেও তারা নগরের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেন। এসময় ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেন শিক্ষার্থীরা।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আসাদুল্লাহ আল গালিব বলেন, আজকে আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ সম্মিলিত আক্রমণ করেছে। এতে আমাদের সাতজন ভাই শহীদ হওয়ার পাশাপাশি ৫ শতাধিক ভাইবোন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৮-১০ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন। এছাড়া আমরা দেখেছি আজকে হেলিকপ্টার নিয়ে আকাশপথে মহড়া দিচ্ছে। তাই খুনি হাসিনা এবং তার সহযোগিদের গদি থেকে বিদায় করে শাস্তি নিশ্চিত না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলমান থাকবে।