পদত্যাগ করলেন জাহাঙ্গীরনগরের উপাচার্য

ফাইল ছবি

ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম।

আজ বুধবার রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে ইমেইলে পদত্যাগপত্র জমা দেন উপাচার্য।

পদত্যাগপত্রে উপাচার্য লেখেন, ‘আপনার আদেশক্রমে গত ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে আমাকে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছিল। সে অনুসারে আমি দায়িত্ব পালনে সর্বোচ্চ সচেষ্ট ছিলাম। বর্তমানে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণে আমি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ থেকে পদত্যাগ করলাম।’

২০২২ সালের ১ মার্চ অধ্যাপক মো. নূরুল আলমকে উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে নিয়োগ দেওয়া হয়। একই বছরের ১৭ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে সাময়িকভাবে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১৩ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ৪ বছরের জন্য উপাচার্যের দায়িত্ব পান তিনি।

একই দিন পদত্যাগ করেছেন জাবির রেজিস্ট্রার (চুক্তিভিত্তিক) আবু হাসান। পদত্যাগের বিষয়ে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পারিবারিক কারণে আমিও পদত্যাগ করেছি। পদত্যাগের বিষয়টি আমি উপাচার্যকে মৌখিকভাবে জানিয়েছিলাম। উপাচার্যের বিশেষ অনুরোধে আজকে ভার্চ্যুয়ালি সিন্ডিকেট সভা পরিচালনা করতে হয়েছে। এরপরই আমি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি।’

এছাড়া, জাবিতে একাধারে পদত্যাগ করেছেন প্রক্টর ও শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক আলমগীর কবির এবং ফজিলাতুন্নেছা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ছায়েদুল ইসলাম। তাদের পদত্যাগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রক্টর হিসেবে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. রুবেল, শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ হলের প্রভোস্ট হিসেবে সহযোগী অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার ও ফজিলাতুন্নেছা হলের প্রভোস্ট হিসেবে অধ্যাপক আফসানা হককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। 

এর আগে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা যে ৯ দফা দাবি জানিয়েছিলেন সেখানে জাবি উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগের কথা বলা হয়েছিল।