সিপিডির সংলাপে সংবিধান নিয়ে বিতর্ক

বাংলাদেশে বিপ্লবের মধ্য দিয়ে নতুন সরকার গঠন করা হয়েছে। এখন দেশ কোনো সংবিধানের অধীনে আছে কি-না এমন বিতর্ক তুলছেন বিশ্লেষকরা।

বুধবার গুলশানে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) আয়োজিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চ্যালেঞ্জ ও করণীয় শীর্ষক সংলাপে এ বিতর্ক উঠে আসে।

অনুষ্ঠানে সাবেক অর্থসচিব মুসলিম চৌধুরী দাবি করেন, এ সংবিধানে স্বৈরাচারী হওয়ার অনেক উপাদান আছে, এগুলো বাদ দিতে হবে। এগুলো রাজনৈতিক দলের হাতে ছেড়ে দিলে আমরা ব্লাকহোলে পড়ে যাব।

তিনি বলেন, ডিক্টেটোরিয়াল উপাদান বাদ দিতে হবে। স্থানীয় সরকারকে কেন্দ্রীয় সরকার থেকে আলাদা করতে হবে।

তার বক্তব্যের মাঝেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম মুসলিম চৌধুরীকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনি কি সংবিধানের সংশোধন চাচ্ছেন নাকি নতুন করে লিখতে বলছেন?’

এ প্রশ্নে বিব্রত হয়ে পড়েন মুসলিম চৌধুরী। জবাবে তিনি বলেন, ‘এ সংবিধান সংশোধন সম্ভব না, এটাকে আবার লিখতে হবে।’

এর ব্যাখ্যায় সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আমরা তো এ রাষ্ট্রপতির কাছে শপথ নিয়েছি। তার মানে আমাদের সংবিধান এখনো আছে। এখন এটাকে বাদ দেওয়া হবে, নাকি সংস্কার করবে এটার সিদ্ধান্ত নিতে হবে এ সরকারকে।’

স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘এ সরকারকে নতুন করে সংবিধান লিখে যেতে হবে, তারা হয়তো বাস্তবায়ন করতে পারবেন না। পরবর্তী সরকারের জন্য এ সংবিধান লিখে যেতে হবে, যাতে তারা বাস্তবায়ন করতে পারেন।’