চট্টগ্রামের সাবেক এমপি এম এ লতিফ গ্রেপ্তার, ৩ দিনের রিমান্ড

চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনের আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) এম এ লতিফকে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন চট্টগ্রামের আদালত।

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) রাতে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ জানায়। আর শনিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেব শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।

এর আগে, সকালে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। লতিফ নৌকা প্রতীক নিয়ে চারবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য। তিনি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ছিলেন।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপকমিশনার প্রসিকিউশন এ এ এম হুমায়ুন কবির বলেন, বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় আসামি এম এ লতিফকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ডবলমুরিং থানার পুলিশ সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। আসামিপক্ষে আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিলের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল কাদের পাটোয়ারী বলেন, সকালে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার মাজার গেট এলাকা থেকে এম এ লতিফকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ৪ আগস্ট নগরের নিউমার্কেট এলাকা থেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি শেষে ফেরার পথে ডবলমুরিং থানার দেওয়ানহাট এলাকায় এরশাদ নামের একজন গুলিতে আহত হন। এ ঘটনায় আহত এরশাদ বাদী হয়ে থানায় এম এ লতিফসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার এজাহারভুক্ত নগর ছাত্রলীগ নেতা জাকারিয়া দস্তগীরসহ বাকি আসামিরা বাদী ও তার সঙ্গে থাকা লোকজনকে রড, হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন। এ ছাড়া তারা ককটেল বিস্ফোরণ করেন। আহত ব্যক্তিরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।