দেশবাসীকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা কখন নির্বাচন চায়: ড. ইউনূস

ছবি: পিআইডি

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘বর্তমান সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করার মাত্র দুই সপ্তাহ শেষ হলো। কর্ম যাত্রার প্রথম পর্যায়ে রাষ্ট্র সংস্কারের কাজে আপনাদের কাছ থেকে যে সমর্থন পাচ্ছি সেজন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। আমরা অনুধাবন করছি যে আমাদের কাছে আপনাদের প্রত্যাশা অনেক। এ প্রত্যাশা পূরণে আমরা বদ্ধপরিকর।’

তিনি বলেন, ‘যদিও দীর্ঘদিনের গণতন্ত্রহীনতা, ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থা প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমাদের জন্য পর্বতসম চ্যালেঞ্জ রেখে গিয়েছে। কিন্তু এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণে আমরা প্রস্তুত। আজ আমি সরকারের পক্ষ থেকে আপনাদের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করতে আপনাদের সামনে এসেছি। শুধু আমি বলব আপনাদের একটু ধৈর্য ধরতে হবে।

আজ রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার এই ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শপথ নেওয়ার ১৫ দিনের মাথায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দেশের সংকটকালে ছাত্রদের আহ্বানে আমরা দায়িত্ব নিয়েছি। কখন নির্বাচন হবে এটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। দেশবাসীকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা কখন নির্বাচন চায়।

তিনি বলেন, ‘তারা যখনই বলবে আমরা চলে যাব। সংস্কারের অংশ হিসেবে নির্বাচন কমিশনকেও সংস্কার করব, যাতে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়। আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি- আমাদের পক্ষ থেকে মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব তুলব না।’