শিক্ষার্থীদের দখলে সচিবালয়, পালালো হাজারও আনসার সদস্য

শিক্ষার্থীদের দখলে সচিবালয়, পালালো হাজারও আনসার সদস্য

সচিবালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহকে আটকে রেখে আন্দোলন করে আসছিল আনসার সদস্যরা। এ খবর জানতে পেরে বিক্ষুব্ধ ঢাবি শিক্ষার্থীরা সেখানে পৌঁছান। এ সময় আনসার সদস্য ও তাদের সহযোগীরা ছাত্র-জনতার উপরে গুলি ছোঁড়ে এবং হামলা চালায়। এতে অন্তত ৪০জন শিক্ষার্থী আহত হয়। পরে ছাত্র জনতা প্রতিরোধ গড়ে বিপথগামী আনসার সদস্যদের ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। পথে সাধারণ জনতা এবং পথচারীরা বিপথগামী এসব উদ্ধত আনসার সদস্যদের গণপিটুনি দেয়া শুরু করলে সময় পরিচয় লুকাতে অনেকে পোশাক খুলে খালি গায়ে দৌড় দেন। এরপর অল্প সময়ের মধ্যে ঐ এলাকা দখলে নেন শিক্ষার্থীরা।

রোববার ( ২৫ আগস্ট) রাতে এ ঘটনা ঘটে।

এর আগে, রোববার রাত ৯টার দিকে দুই সমন্বয়ককে উদ্ধারে সচিবালয়ের উদ্দেশে রওনা হন শিক্ষার্থীরা। হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম তাদের ফেসবুক পোস্টে আটক রাখার বিষয়টি জানালে বিক্ষুব্ধ ঢাবি শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জমা হতে থাকেন। পরে রাত ৯টার দিকে তারা সচিবালয়ের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন।

সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ নিজের ফেসবুক আইডিতে এক স্ট্যাটাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সবাইকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে হাজির হতে বলেন।

স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, সবাই রাজুতে আসেন। স্বৈরাচারীশক্তি আনসার হয়ে ফিরে আসতে চাচ্ছে। দাবি মানার পরও আমাদের সবাইকে সচিবালয়ে আটকে রাখা হয়েছে।

জানা গেছে, আনসার সদস্যদের আন্দোলনের মুখে সচিবালয়ের সব গেট বন্ধ করে রাখা হয়েছে। দিনব্যাপী আন্দোলন চলার পর অবরুদ্ধ ছিলেন সচিবালয়ের হাজারো কর্মকর্তা-কর্মচারী।

দিনে সরেজমিন দেখা গেছে, সচিবালয়ের সব গেট বন্ধ রয়েছে। বাইরে বিক্ষোভ করছেন আনসার সদস্যরা। এতে নারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেশি বিপাকে পড়েছেন। তারা বলছেন- বাসায় ছোট বাচ্চারা রয়েছে। আমাদের কোনো নিরাপত্তা নেই। আমাদের উদ্ধার করুন।

এদিকে আনসারদের দাবি, তারা দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্যের শিকার। তাদের আশ্বাস দেওয়ার পরও চাকরি জাতীয়করণ করা হয়নি। দাবি না আদায় হওয়া পর্যন্ত সচিবালয় থেকে কাউকে বের হতে দেবেন না এবং কাউকে প্রবেশ করতে দেবেন না।