কমছে পানি, বাড়ছে দুর্ভোগ

কমছে পানি, বাড়ছে দুর্ভোগ

কুমিল্লা ও নোয়াখালীতে নদীর পানি কিছুটা কমলেও লোকালয়ের পানি খুবই ধীর গতিতে নামছে। আবার নতুন করে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিতও হয়েছে। ফেনীতে দুর্গত অনেক এলাকা এখনও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকটে দুর্ভোগে দিনাতিপাত করছেন বানভাসি মানুষজন।

ফেনী পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলায় পানি কিছুটা কমলেও সোনাগাজী, দাগনভুঞা, সদর ও ছাগলনাইয়ায় অবর্ণনীয় দুর্ভোগে বন্যাকবলিতরা। অনেক এলাকায় ত্রাণ না মেলায় খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট চরমে।

এদিকে, কুমিল্লার ১৭ উপজেলার মধ্যে ১৪টিই বন্যাকবলিত। এসব উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া, চৌদ্দগ্রাম ও নাঙ্গলকোট। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ১০ লাখের বেশি। ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। চৌদ্দগ্রাম ও নাঙ্গলকোটে ত্রাণ সংকটে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে অনেকের।

অন্যদিকে, বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে নোয়াখালীতে। নতুন করে ভিড় বাড়ছে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে। সরকারি হিসাবে ৮২৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে দেড় লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। সেনবাগ, বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ি ও সদরের কিছু এলাকায় জলযানের অভাবে পৌঁছাচ্ছে না ত্রাণসামগ্রী। 

লক্ষ্মীপুরেও পানিবন্দি প্রায় সাড়ে ৭ লাখের বেশি মানুষ।

এদিকে, বন্যায় চাঁদপুরের শাহরাস্তি ও হাজীগঞ্জের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ চরম দুর্ভোগে। এছাড়া, ফরিদগঞ্জ উপজেলায় সেচ প্রকল্পের বেড়িবাঁধ উপচে সপ্তাহখানেক ধরে রয়েছে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ।

আবহাওয়া অফিস বলছে, ফেনী-কুমিল্লাসহ ওই এলাকার সব নদীর পানি কমছে। তবে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকায় এসব এলাকার পানি স্থিতিশীল থাকতে পারে।