ফ্যাসিস্টদের দোসররা ষড়যন্ত্র করলে দেশবাসীকে নিয়ে মোকাবেলা

ফ্যাসিস্টদের দোসররা ষড়যন্ত্র করলে দেশবাসীকে নিয়ে মোকাবেলা

আন্দোলনের নামে আনসার সদস্যদের সচিবালয় ঘেরাও, সমন্বয়কদের আটক ও হামলা চালিয়ে অর্ধশতাধিক ছাত্রকে আহত করার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সেখানে সংগঠনের নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, বিদায়ী আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা কোনো ষড়যন্ত্র করলে দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে তাদের মোকাবেলা করা হবে।

সোমবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। সমবেত শিক্ষার্থীরা ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘আওয়ামী দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘আনসার লীগের দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক লুৎফর রহমান সরকার বলেন, ‘বিদায় নেওয়ার পর ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা চালিয়েছে ফ্যাসিস্ট সরকার। জুডিশিয়াল ক্যু করে, কখনো আমলাদের দিয়ে ক্যু করে, এরা নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে ফিরে আসার চেষ্টা করেছে। আমি বলে দিতে চাই, ফ্যাসিস্টদের দোসররা কোনো ষড়যন্ত্র করলে বাংলার ২০ কোটি মানুষ একত্রে মোকাবিলা করবে।’

সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ‘আমরা আসলে এমন এক সময়ে রাজুতে কথা বলছি, অর্ধশতাধিক আহত এবং আমাদের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহকে সিএমএইচে নেওয়া হয়েছে। অনেকের অপারেশন হয়েছে। আমরা কখনো চাই না, আপনারা প্রশ্ন সমালোচনা না করে বসে থাকুন। কিন্তু নতুন একটি সরকার আসার পর তাকে সুষ্ঠু শাসনের জন্য কয়েক মাস সময় প্রয়োজন হয়।’

সারজিস বলেন, ‘এখনো চাটুকার শক্তি প্রশাসনসহ সব জায়গায় আছে। ১৬ বছরের ফ্যাসিজমের সাথে সহায়ক হিসেবে থাকা এই শক্তিকে প্রথমে উৎখাত করতে হবে। তারপর পুরো ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। আনসারদের মধ্যে যারা আওয়ামী লীগের সহায়তায় চাকরি পেয়েছে তারাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে বিশ্বাস করি।’

এই সমন্বয়ক বলেন, ‘আমাদের ভাইদের ওপর হামলার সুষ্ঠু বিচার হতে হবে, হামলায় জড়িত আনসারদের চিহ্নিত করে তাদের সকল সুযোগ সুবিধা রহিত করতে হবে। ১৬ বছর ধরে গড়ে ওঠা এই ফ্যাসিস্ট প্রশাসনের প্রতিটি সেক্টরে থাকা আওয়ামীপন্থীদের চিহ্নিত করে বিদায় করতে হবে।’