ড. ইউনূসের লিভ টু আপিলের শুনানি সোমবার

ড. মুহাম্মদ ইউনূস

মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে করা মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশের বিরুদ্ধে নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের সাত কর্মকর্তার লিভ টু আপিলের শুনানি আগামী সোমবার।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ শুনানির এই দিন ধার্য করে আজ (বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট) আদেশ দেয়।

আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ-আল-মামুন। রাষ্ট্র পক্ষে শুনানি করেন এটর্নি জেনারেল মো: আসাদুজ্জামান। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী একেএম ফজলুল হক।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্য ছয় আপিলকারী হলেন গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম, পরিচালক আশরাফুল হাসান, নাজনীন সুলতানা, শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও এস এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী।

গত ২৪ জুলাই বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে আনা আবেদন খারিজ করে দেন। সেই সাথে এক বছরের মধ্যে এই মামলার বিচার শেষ করতে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়।

দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে গত বছরের ৩০ মে মামলাটি করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামিরা ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অবৈধভাবে অর্থ স্থানান্তর করা হয়েছে, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধ।

গত ১২ জুন ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে এই মামলায় অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক। সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ১৫ জুলাই দিন ধার্য রাখেন। এক পর্যায়ে অভিযোগ গঠনের আদেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন ড. ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের শীর্ষ সাত কর্মকর্তা। এই আবেদন গত ২৪ জুলাই খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ও সাধারণ মানুষের বিপ্লব ও গণ অভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে বিগত সরকার ও সংসদ বাতিল করা হয়। গত ৯ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ গ্রহণ করেন। ছাত্র জনতার আহ্বানে সাড়া দিয়ে সরকারের প্রধান উপদেষ্টা তথা সরকার প্রধান হিসেবে শপথ নেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার তার বিরুদ্ধে বেশকটি মামলা রুজু করে।

ড. ইউনূস এর আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বিশ্ব বরেণ্য ব্যক্তিত্ব, জাতির অন্যতম শ্রেষ্ঠ সন্তান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে হয়রানি করবার জন্য উদ্দেশ্য প্রণোদিত এইসব মামলা দায়ের করা হয়েছিল। আমরাও তখন ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছিলাম।