ঢাকায় আসছে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি

ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে শেখ হাসিনা সরকারের নির্দেশে হওয়া গণহত্যার তদন্ত করতে আগামী সপ্তাহে ঢাকায় আসছে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। এ তদন্ত প্রক্রিয়ায় সহায়তার জন্য জাতিসংঘের কারিগরি বিশেষজ্ঞ দল ইতোমধ্যে ঢাকা সফর শেষ করেছে।

শুক্রবার (৩০ আগস্ট) জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গত ১৬ আগস্ট জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ছাত্র-জনতার আন্দোলন এবং এর পরবর্তী সময়ে সরকার পতনের পর সারা দেশে অন্তত সাড়ে ৬০০ মানুষ নিহত হয়েছেন। তবে সরকারি সংস্থার হিসেবে নিহতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন দপ্তর জানায়, জাতিসংঘের একটি দল ২২-২৯ আগস্ট বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বিক্ষোভের ছাত্রনেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে, যাদের অনেকেই আটক বা আহত হয়েছেন।

সেই সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতি, পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, আইনজীবী, সাংবাদিক ও মানবাধিকার রক্ষক, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি এবং সংখ্যালঘু ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের সঙ্গে বৈঠক করেছে।

বৈঠকগুলোতে দলটি অন্তর্বর্তী সরকারের অনুরোধ অনুযায়ী সাম্প্রতিক সহিংসতা, অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং অপব্যবহারের তদন্তের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেছে।

জাতিসংঘের দলটি আলোচনার মধ্যে ন্যায়বিচার, ক্ষতিপূরণ, সংস্কার ইত্যাদি প্রক্রিয়ার অন্য পদ্ধতিগুলোও রয়েছে- যেখানে মানবাধিকার কমিশন দপ্তর টেকসই সহায়তা দিতে পারে।

বিবৃতিতে বলা হয়, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের শীর্ষ নির্বাহী ভলকার তুর্ককে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস।

সেই সঙ্গে গত ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশে সহিংসতার যত ঘটনা ঘটেছে, সে সব ঘটনার আনুষ্ঠানিক তদন্তের অনুরোধও করেছেন তিনি। ভলকার তুর্ক এই আমন্ত্রণকে স্বাগত জানিয়েছেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন দপ্তর জানায়, বিক্ষোভের সময় সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং অপব্যবহারের প্রতিবেদন, মূল কারণ বিশ্লেষণ, ন্যায়বিচার, জবাবদিহিতা এবং দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারের জন্য সুপারিশ করার লক্ষ্যে আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশে একটি ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং দল সফরে যাবে।

জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং দলটি তদন্ত কাজে পূর্ণ সহযোগিতার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার এবং নিরাপত্তা বাহিনীর কাছ থেকে প্রতিরক্ষা পেয়েছে।