যে কারণে পালাতে পারেননি ১৪০ প্রভাবশালী

যে কারণে পালাতে পারেননি ১৪০ প্রভাবশালী

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজের আমন্ত্রণে গত ২১ জুলাই ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে স্পেন যাওয়ার কথা ছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের। এটাই মাদ্রিদে বাংলাদেশের কোনো প্রধানমন্ত্রীর প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ায় সফরটি পিছিয়ে যায়।

এর আগে, সংক্ষিপ্তভাবে চীন সফর করলেও স্পেন যাওয়ার আগেই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে পদত্যাগ করতে হয় শেখ হাসিনা। গত ৫ আগস্ট রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েই ভারতে চলে যান তিনি। শেখ হাসিনা দেশ ছাড়লেও পালাতে পারেননি তার সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী-ব্যবসায়ীসহ শতাধিক ব্যক্তি। কারণ তাদের সবার পাসপোর্ট স্পেন সফরের ভিসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জমা ছিল। দেশের ভেতরেই কয়েকদিন আত্মগোপনে থাকলেও একে একে গ্রেফতার হতে শুরু করেন হাছান মাহমুদ, সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক, দীপু মনি, জুনাইদ আহমেদ পলকরা। এখনো আত্মগোপনে আছেন অনেকে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট সূত্রে শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার পর বিভিন্ন সময় প্রভাবশালীদের দেশ ছাড়তে না পারা ও গ্রেফতার হওয়ার এ কারণ জানা গেছে।

সূত্র জানিয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হতে স্পেনের ভিসার জন্য পাসপোর্ট জমা দিয়েছিলেন ১৪০ জন মন্ত্রী-এমপিসহ প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর লাখ লাখ ছাত্র-জনতা গণভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট চালায়। এই লুটপাটেই হারিয়ে গেছে প্রভাবশালীদের পাসপোর্ট। ফলে পাসপোর্ট না থাকায় অনেকেই আত্মগোপনে চলে যান। কেউ কেউ সেনাবাহিনীর কাছে আশ্রয় নেন। ক্যান্টনমেন্টে ৬ শতাধিক ব্যক্তির আশ্রয় নেয়ার তথ্য কয়েকদিন আগেই জানিয়েছিল আইএসপিআর।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাসপোর্ট না থাকায় যারা দেশ ছাড়তে পারেননি তাদের মধ্যে অন্যতম সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক, জুনাইদ আহমেদ পলক, দীপু মনি। তাদের মতো অনেক প্রভাবশালীই দেশ ছাড়তে পারছেন না শুধুমাত্র পাসপোর্ট না থাকায়।