ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর ভারতীয় গণমাধ্যম অতিরঞ্জিত সংবাদ করেছে

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন

বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে জনকেন্দ্রিক করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকারের সময় বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সুসম্পর্ক সরকার বা দলের ও ব্যক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। আমরা চাই, জনসাধারণের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে উঠুক। দু’দেশের মানুষের মাঝে এই বিশ্বাস তৈরি হোক যে, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক খুব ভালো আছে।’

আরও পড়ুন: চলতি মাসে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেবেন ইউনূস: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে ‘আওয়ামী লীগের শাসনামলে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক সোনালী অধ্যায় ছিল কিনা’এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও উন্নয়নের ক্ষেত্রে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে মানুষের মনে সৃষ্ট ক্ষোভ প্রশমন করা সম্ভব বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

দেশে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পরে ভারতীয় গণমাধ্যম অতিরঞ্জিত সংবাদ প্রচার করেছে। সেজন্য আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম যারা বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ সংবাদ প্রকাশ করে, তারা এই দৃষ্টিভঙ্গি (ভারতীয় গণমাধ্যমের) গ্রহণ করেনি বলে জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।

শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বের একধরণের টানাপোড়েনের বিষয়টি স্বীকার করা উচিত বলে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, যেসব ইস্যুতে টানাপোড়েন চলছিল, এগুলো বর্তমান অন্তর্বতী সরকার এবং ছাত্র-জনতার এজেন্ডার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। কাজেই, এখানে দ্বন্দ্বের কোনো সুযোগ দেখি না।

পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমরা সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ ও গতিশীল সম্পর্ক চাই। আমি মনে করি কোনো এক পর্যায়ে কোনো এক কারণে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কে একটু টানাপোড়েন ছিল। এখন স্বাভাবিক একটা সম্পর্কে যদি উন্নীত হয়, আমাদের সবার খুশি হওয়া উচিত।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে অংশ নিতে যাদের কাজ আছে শুধুমাত্র তাদের একটি ছোট বহর (প্রতিনিধি দল) নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিউইয়র্কে যাবেন বলেও জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।