সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গ্রেফতার

সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গ্রেফতার

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। সাবেক এই মন্ত্রী বর্তমানে আদাবর থানায় আছেন।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

আদাবর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভুইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। পরে র‍্যাব ১২টার দিকে তাকে আদাবর থানায় হস্তান্তর করে গেছে।

ফরহাদ হোসেনকে কোথায় থেকে কখন আটক করা হয়েছে বলে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে কোনো তথ্য জানা যায়নি।

অন্যদিকে ফরহাদ হোসেনের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক এএসপি আ ন ম ইমরান খান।

এর আগে, গত ৯ সেপ্টেম্বর মেহেরপুরে জামায়াত নেতা তারিক মো. সাইফুল ইসলাম হত্যার ঘটনার ১০ বছর পর আদালতে সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, তৎকালীন পুলিশ সুপার (এসপি) নাহিদুল ইসলামসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। 

ওইদিন মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন নাহারের আদালতে নিহতের ছোট ভাই তাওফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলার আবেদন করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সদর থানার ওসিকে এজাহার নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, মেহেরপুরের তৎকালীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল জলিল, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী হাকিম সাঈদ মোহাম্মদ মজুমদার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ফরিদ হোসেন, র‌্যাবের গাংনী ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন আশরাফ হোসেন, র‌্যাবের ডিএডি জাহাঙ্গীর আলম, বিজিবির নায়েক সুবেদার মো. আসাদ মিয়া, জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি বাবুল আক্তার, সদর থানার ওসি রিয়াজুল ইসলাম, সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তরিকুল ইসলাম, সদর থানার এসআই আ. হান্নান, কনস্টেবল সাধন কুমার, গোয়েন্দা পুলিশের কনস্টেবল নারদ কুমার, সদর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রসুল, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বারিকুল ইসলাম, সদর আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য দরুদ আলী।

মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি বড় বাজার এলাকা থেকে জেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক তারিক মো. সাইফুল ইসলামকে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও ডিবির সদস্যরা তুলে নিয়ে যান। ওই দিন বিকেলে তারিকের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস তৎকালীন পুলিশ সুপার নাহিদুল ইসলামের কাছে খোঁজ নিতে যান। তখন নাহিদুল জানান, তারিক পুলিশ হেফাজতে নেই। ওই দিন রাতেই তারিককে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গুলি করে হত্যা করেন। ময়নাতদন্ত ছাড়াই পুলিশ হেফাজতে তাকে দাফন করা হয়। যেহেতু ১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল; এ কারণে তারিক হত্যা মামলা পুলিশ নেয়নি। এখন আবার নতুন করে মামলা করা হলো।