এনআইডি সমস্যায় ৫ লাখ নাগরিক: ভোগান্তি বাড়ছে

এনআইডি সমস্যায় ৫ লাখ নাগরিক: ভোগান্তি বাড়ছে

ভুল জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিয়ে প্রায় ৫ লাখ নাগরিক নানান ভোগান্তিতে পড়েছেন। এ কারণে অনেকেই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারছেন না, সন্তানের জন্মনিবন্ধন করাতে সমস্যায় পড়ছেন, এবং পারিবারিক সম্পদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কিছু লোকের বেতন-ভাতাও বন্ধ হয়ে গেছে।

বছরের পর বছর ধরে এনআইডি সংশোধনের আবেদন করে ইসির অফিসে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। তবে এনআইডি সেবা সহজ করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন (ইসি) কিছু নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সচিব পর্যায়ের বৈঠক শেষে ইসি সচিব নতুন উদ্যোগ নিতে শুরু করেছেন।

বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন আবেদন সংখ্যা কমে ১ লাখ ৭১ হাজার ৫৮১টিতে দাঁড়িয়েছে, মোট আবেদন ৪ লাখ ৭০ হাজার ৯৩১টি। ইসি সূত্রে জানা গেছে, এনআইডি সেবা সহজ করতে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে মোবাইল অ্যাপ তৈরি করা, বিভিন্ন অফিসে প্রতিদিন সেবা দেওয়া মানুষের সংখ্যা লিপিবদ্ধ করার ব্যবস্থা এবং হারানো এনআইডির জন্য জিডির কপি দাখিলের নিয়ম বাদ দেওয়া অন্তর্ভুক্ত।

গত ৫ জুন পর্যন্ত অনিষ্পন্ন আবেদনের সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৬৪ হাজার ১৬১, যা ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২ লাখ ৯৯ হাজার ৩৫০তে নেমে এসেছে।

নির্বাচন কমিশনের সচিব শফিউল আজিম বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশনা দিয়েছেন যে সেবা সহজ, দুর্নীতিমুক্ত এবং জনবান্ধব হতে হবে। তাই মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত অনলাইন বৈঠক চলছে।

ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম জানিয়েছেন, এনআইডি সেবা দ্রুততার সাথে কার্যকর করতে মাঠ পর্যায় থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। ঝুলে থাকা আবেদন আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করার জন্য সব কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এনআইডি আবেদনের ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২৪ হাজার ৯৭১টি আবেদন এখনও ক্যাটাগরি করা হয়নি। প্রক্রিয়াধীন আবেদনের মধ্যে বিভিন্ন কারণে ফিরিয়ে দেওয়া, তদন্তের প্রয়োজন, শুনানির অপেক্ষায় থাকা এবং অতিরিক্ত তথ্যের জন্য অপেক্ষায় থাকা আবেদনও রয়েছে। মোট মিলিয়ে, বর্তমানে ৪ লাখ ৭০ হাজার ৯৩১টি আবেদন সংশোধনের জন্য কর্মকর্তাদের টেবিলে রয়েছে।