সাগর-রুনি হত্যা মামলা পরিচালনায় লড়বেন ৯ আইনজীবী

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলায় বাদীর ব্যক্তিগত খরচে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিশির মনিরসহ ৯ আইনজীবীকে মামলা পরিচালনা করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

মামলায় অন্য আইনজীবীরা হলেন-এডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম, মিজানুল হক, মোস্তফা জামাল, আবু রাসেল, মহিউদ্দিন, আব্দুল্লাহ আল ফারুক, ইকবাল হোসেন, মোত্তাকিন হোসাইন।

মামলার বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক এ অনুমতি দেন।

আবেদনে বলা হয়, মামলার ভিকটিম সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনিকে অজ্ঞাত পরিচয়ের আসামিরা ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি নিজ বাসায় নৃশংসভাবে হত্যা করে। মামলাটি দীর্ঘ ১২ বছর তদন্ত চলমান থাকলেও কোনো তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়নি।

আবেদনে আরও বলা হয়, দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পরও মামলায় কোনো প্রকার অগ্রগতি নেই। মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে রাষ্ট্র পক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটরকে সহায়তার জন্য বাদী পক্ষে নিজ খরচে আইনজীবী নিয়োগ করা আব্যশ্যক। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং তার স্ত্রী এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি রুনির ভাই নওশের আলী রোমান বাদী হয়ে শেরে বাংলা নগর থানায় মামলা করেন। প্রথমে মামলাটির তদন্ত করেন শেরেবাংলা নগর থানার একজন কর্মকর্তা। এরপর ১৬ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তভার পড়ে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তরের পুলিশ পরিদর্শক মো. রবিউল আলমের ওপর। দুই মাস পর হাইকোর্টের আদেশে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র‌্যাব)। সেই থেকে প্রায় ১২ বছরে ১১১ বার সময় নিয়েও তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি সংস্থাটি।