রাজধানীতে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে আপন ভাইয়ের বাড়ি দখলের অভিযোগ

রাজধানীতে আপন ভাইয়ের বিরুদ্ধে ভয়ভীতি দেখিয়ে চারতলা একটি বাড়ি দখলের অভিযোগ উঠেছে। কলাবাগান থানাধীন ৯০ সেন্ট্রাল রোডের দুই কাঠার ওই বাড়িটির মালিক সুইডেন প্রবাসী হওয়ায় কোনো কূল কিনারা পাচ্ছেন না। বাড়িটি উদ্ধারে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন প্রকৃত মালিকরা।

জানা গেছে, পারিবারিক ভাবে ২০১১ সালে বাবা একে আহমেদ হোসেন তার ৫ সন্তানের মধ্যে চারজনের নামে ৬ তলা বিশিষ্ট ওই বাড়িটি রেজিস্ট্রি করে দেন। এর মধ্যে সুইডেন প্রবাসী মোয়াজ্জেম হোসেন আলমগীরকে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম তলা, মোজাম্মেল হোসেন মুরাদকে নীচ তলা ও ষষ্ঠ তলা এবং দুই মেয়ে আফরোজ জাহান নাসরিন ও সামিয়া আহমেদকে দ্বিতীয় তলা লিখে দেন। অন্য দিকে বড় ছেলে মোতাহার হোসেন জাহাঙ্গীরকে দেন গ্রামের বাড়িসহ জমি ও নগদ ৮০ লাখ টাকা।

পারিবারিক একটি সূত্র জানায়, জাহাঙ্গীর তিন সন্তানসহ প্রথম স্ত্রীকে ছেড়ে ২০০৮ সালে সুলতানা রাজিয়া নামের গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার একটি মেয়েকে বিয়ে করেন। পরবর্তীতে তার বাসার কাজের ছেলের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন দ্বিতীয় স্ত্রী। এর জেরে ২০০৯ সালে কালাম সরদার নামের ওই ছেলেকে খুন করে বাড়ির ছাদ থেকে ফেলে দেন জাহাঙ্গীর। সে সময় খুনের ঘটনাটি নিয়ে ব্যাপক হইচই হয় এবং মামলা হলে দুই বছর তিনি পলাতক ছিলেন।

এছাড়াও ২০০২ সালে দেশব্যাপী অপারেশন ক্লিন হার্ট চলাকালে তাকে অবৈধ অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ও দীর্ঘদিন কারাভোগের পর ওয়ান ইলেভেনের সময় দীর্ঘ দুই বছর পলাতক ছিলেন তিনি।

জাহাঙ্গীরের ভাই সুইডেন প্রবাসী মোয়াজ্জেম হোসেন আলমগীর জানান, শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে ৫ আগস্ট রাতেই দলবল নিয়ে ১২০০ বর্গফুটের ওই বাড়িটি দখল করে নেন তার বড় ভাই। এসময় সব ভাড়াটিয়াকে জোর পূর্বক বাড়ি থেকে বের করে দেন তিনি। নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত জাহাঙ্গীর নিজেকে বিএনপি নেতা পরিচয় দিয়ে বাড়িটি দখলে রেখেছেন। তারা বিদেশে অবস্থান করায় কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মোতাহার হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, তার ভাইয়েরা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে মিলে বিগত দিনে তাকে নানানভাবে হয়রাণী করেছেন। তিনি বাড়িটির সম্পূর্ণটা দখল করেননি। তবে বিষয়টি যদি পারিবারিক কিংবা সামাজিকভাবে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়, তাহলে তিনি তা মেনে নেবেন।