শেখ হাসিনার অবস্থান জানে না সরকার: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
নয়াদিল্লি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিষয়ে খোঁজ নিলেও তার অবস্থান সরকার নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা তার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারিনি। আমরা দিল্লি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুসন্ধান করেছি। কেউ আমাদের নিশ্চিত করতে পারেনি।’
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, গণমাধ্যমে তারাও তার(শেখ হাসিনার) সংযুক্ত আরব আমিরাত ভ্রমণের বিষয়ে খবর দেখেছেন।
গণমাধ্যমের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিনি(শেখ হাসিনা) সম্ভবত আজমানে আছেন। তবে তারা এটি পুনরায় নিশ্চিত করার চেষ্টা করেও সফল হননি।
তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যাপারে আমি আপনাদের বলেছি, তার পরিকল্পনা সম্পর্কে আমাদের কাছে কোনো হালনাগাদ তথ্য নেই।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সরকারি মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে নয়া দিল্লিতে সাংবাদিকদের বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যাপারে আমি আপনাদের বলেছি, তার পরিকল্পনা সম্পর্কে আমাদের কাছে কোনো হালনাগাদ তথ্য নেই। এটি তার ওপর নির্ভর করছে, তিনি কীভাবে বিষয়গুলো এগিয়ে নেবেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর পার্লামেন্টে স্বপ্রণোদিত হয়ে দেওয়া বিবৃতিতে স্পষ্টভাবে বলেছেন, সংক্ষিপ্ত নোটিশে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতে আসার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
ভারতে পলাতক এমপি-মন্ত্রী ও সরকারি কর্মকর্তাদের দেশে ফেরত আসার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা হোসেন বলেন, বাংলাদেশ মিশন শুধু বাংলাদেশে আসার জন্য ট্রাভেল পাস ইস্যু করতে পারে, অন্য দেশে যাওয়ার জন্য নয়। 'এটা বাংলাদেশে একমুখী সফর।'
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অপরাধ করে থাকলে তাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
নিউইয়র্ক টাইমস ক্লাইমেট ফরোয়ার্ড ইভেন্টে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কেন হবে না? তিনি যদি অপরাধ করে থাকেন তাহলে তাকে প্রত্যর্পণ করে বিচারের আওতায় আনা উচিত। তাকেও বিচারের মুখোমুখি করা উচিত।’
শেখ হাসিনার প্রসঙ্গ টেনে আইনবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল সম্প্রতি বলেছেন, বিচার শুরু হলে বাংলাদেশ অবশ্যই ভারতের সঙ্গে অপরাধী প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় যেকোনো দণ্ডিত ব্যক্তির প্রত্যর্পণ চাইবে।
তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে। প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী, কোনো দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তি ভারতে থেকে গেলে আমরা তার প্রত্যর্পণ চাইতে পারি।
ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা শিগগিরই আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আপনাদের জানাব।
৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে।