আশুলিয়ায় গুলিবিদ্ধ শ্রমিক চম্পার হত্যাকারীদের গ্রেফতার দাবি
বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ থেকে গার্মেন্ট শ্রমিক চম্পা খাতুনের হত্যাকারী মালিক ও দায়ীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জানানো হয়েছে।
সংগঠনের সভাপতি ইদ্রিস আলীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. রুহুল আমিন, সহ সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, ইকবাল হোসেন, এম. এ শাহীন, খাইরুল মামুন মিন্টু, জালাল হাওলাদার, জয়নাল আবেদীন, জাহানারা
ইমাম প্রমুখ।
এসময় তারা আশুলিয়ার জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন লিমিটেডের গুলিবিদ্ধ শ্রমিক চম্পা খাতুনের মৃত্যুতে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়ে মালিক ও গুলি বর্ষণকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। দুই মাসের বেতন না পেয়ে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছেন বলে উল্লেখ করে তারা বলেন, মালিককে ধরে বেতন আদায় করার পরিবর্তে গুলি করে হত্যা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। হত্যা-গুলিবর্ষণ-নির্যাতন-দমননীতি বন্ধ, বকেয়া বেতন পরিশোধ করে এবং ন্যায্য দাবি মেনে নিয়ে শিল্পে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে।
তারা বলেন, শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন ও দরকষাকষির অধিকার খর্ব করে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ভন্ডুল ও চরমভাবে বঞ্চিত করে শোষণ-নির্যাতন চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অনেকগুলো কারখানায় বকেয়া বেতন পরিশোধ না করে সন্ত্রাসী বাহিনী লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আইন ভঙ্গকারী মালিকদের বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা না নিয়ে শ্রমিক ছাঁটাই, শ্রমিক নির্যাতন এমনকি গুলিবর্ষণ করে ‘শিল্প সম্পর্ক’ বিনষ্ট করে উৎপাদন ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে সংকটাপন্ন করা হচ্ছে।
আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকার জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন লিমিটেড কারখানায় শ্রমিকদের দুই মাসের বেতন বকেয়া রেখে কারখানা বেআইনিভাবে বন্ধ করে রাখার অভিযোগ করেন তারা। সরকারি বিভিন্ন পর্যায় থেকে দফায় দফায় শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধের আশ্বাস দিয়েও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি বলেও জানান শ্রমিক নেতারা। তাদের দাবি, শ্রমিকরা গত ২৩ অক্টোবর বকেয়া বেতনের দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে গেলে তা দমন করতে তাদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালানো হয় এবং চারজন শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হন। গতকাল গুলিবিদ্ধ নারী শ্রমিক চম্পা খাতুন মৃত্যুবরণ করেছেন।
শিল্পে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে বকেয়া বেতন পরিশোধ ও ন্যায্য দাবি মেনে নিয়ে যুক্তিযুক্ত সমাধানের দাবি জানান নেতৃবৃন্দ। শ্রমিক হত্যার বিচার, হতাহতদের সুচিকিৎসা, উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য জোর দাবি জানান। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।