আদানির সঙ্গে চুক্তি বাতিল চেয়ে রিট
বিদ্যুৎ নিয়ে ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তিকে ‘স্বার্থবিরোধী ও অসম’ আখ্যায়িত করে তা বাতিল চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় একটি রিট আবেদন করেছেন একজন আইনজীবী।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে এটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল কাউয়ুম।
রিটকারী আইনজীবী বলেন, বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এটি শুনানি করা হবে।
এই আইনজীবী বলেন, আমাদের প্রেরিত লিগ্যাল নোটিশে বেঁধে দেওয়া সময় পেরিয়ে যাওয়ায় আজ আমরা পিডিবি (সরকার) ও আদানি গ্রুপের মধ্যকার সম্পাদিত অসম, অন্যায্য ও দেশের স্বার্থপরিপন্থী বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্ট বিভাগে একটি রিট পিটিশন দায়ের করি। ওই পিটিশনে আদানি গ্রুপের সাথে সম্পাদিত অসম, অন্যায্য ও দেশের স্বার্থপরিপন্থী চুক্তির শর্তসমূহ সমতা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে সংশোধন করতে আদানি গ্রুপ রাজি না হলে তা বাতিল করতে হাইকোর্টের নির্দেশনা চেয়েছি।
ভারতের বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতের আদানি গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান আদানি পাওয়ার। ২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ও আদানি পাওয়ার (ঝাড়খণ্ড) লিমিটেডের (এপিজেএল) মধ্যে বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি হয়। ২৫ বছরের জন্য এক হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ) স্বাক্ষর করে তারা। চুক্তির আওতায় বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ দিতে ভারতের ঝাড়খণ্ডের গড্ডায় বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করে আদানি পাওয়ার। এখনো সেখান থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করছে ঢাকা।
আদানির সঙ্গে চুক্তি সই করে আওয়ামী লীগ সরকার। তবে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন হয় আদানি গ্রুপের। বকেয়ার দাবিতে গ্রুপটি বারবার তাগাদা দেয় এবং আলটিমেটাম দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে গ্রুপটি বিদ্যুৎ সরবরাহের পরিমাণ অর্ধেকের বেশি কমিয়ে দিয়েছে। শুরু থেকেই আদানি গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে সমালোচনা ছিল। তাছাড়া তাদের বিদ্যুৎ না পেলেও খুব একটা সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।