১৪ দিন কাকরাইল মসজিদের দায়িত্বে সাদপন্থিরা
আগামী ১৪ দিনের জন্য তাবলীগ জামাতের মাওলানা সাদপন্থিদের হাতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদের দায়িত্ব হস্তান্তর করেছে মাওলানা জুবায়েরপন্থিরা।
শুক্রবার সকাল ৭টা ৫ মিনিটে কাকরাইল মসজিদের জুবায়েরপন্থিদের কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নেন সাদপন্থিরা। পরে সকাল ৮টার দিকে মসজিদে প্রবেশ করেন সাদপন্থিরা। এ সময় অসংখ্য লোকের জমায়েত হয়।
এ মসজিদের নিয়ম হলো ১৪ দিন থাকবে সাদপন্থিরা এবং ২৮ দিন থাকবে জুবায়েরপন্থিরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ইঞ্জিনিয়ার বেলাল (জুবায়েরপন্থি), খোরশেদ আলম (জুবায়েরপন্থি), মো. কামাল হোসাইন (জুবায়েরপন্থি), অতিরিক্ত সচিব মো. মোজাম্মেল হক (সাদপন্থি), মাওলানা হারুন (সাদপন্থি), শেখ আব্দুলাহ (সাদপন্থি) প্রমুখ।
এর আগে গত ১২ নভেম্বর ঢাকার কাকরাইল মসজিদ ও টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার মাঠে তাবলিগ জামাতের সাদপন্থিদের সুযোগ দিলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা অচলের হুঁশিয়ারি দেয় জুবায়েরপন্থিরা। এক সংবাদ সম্মেলনে মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমী বলেন, “সাদপন্থিরা হাদিসের অপব্যখ্যাকারী। তাদের দাওয়াত ও তাবলিগে অংশগ্রহণ করার সুযোগ নেই।”
পরের দিন ১৩ নভেম্বর পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে সাদপন্থিরা জানান, কাকরাইল মসজিদের একটি অংশে এমনিতেই জুবায়েরপন্থিরা সারা বছর মাদরাসার নামে আলাদা অবস্থান নিয়ে থাকেন। কিন্তু হেফাজতপন্থি আলেমদের সাম্প্রতিক ঘোষণার প্রেক্ষাপটে জুবায়েরপন্থিরা সরকারি সিদ্ধান্ত অমান্য করে কাকরাইল মসজিদ স্থায়ীভাবে দখল নেয়ার ঘোষণা দেয়ায় ভয়াবহ সংঘাতের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়।
সাদপন্থিরা আরো জানান, সরকারি সিদ্ধান্ত মেনে উভয় পক্ষের দ্বন্দ্ব নিরসন প্রয়োজন। আলেম-ওলামারা এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি না করে পূর্বের মতো কাকরাইল মসজিদ, বিশ্ব ইজতেমা ও সারাদেশে আলাদা আলাদা কার্যক্রম পরিচালনা করলে সংঘাত হবে না।
এছাড়া কাকরাইল মার্কাজ (তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়) সম্পূর্ণভাবে নিজামুদ্দীনের অনুসারীদের হাতে বুঝিয়ে দেওয়াসহ ৭ দফা দাবি জানায় মাওলানা সাদের অনুসারীরা।