বিমানবন্দরে নিউ এইজ সম্পাদককে হয়রানি, তদন্তের নির্দেশ ড. ইউনূসের

বিমানবন্দরে নিউ এইজ সম্পাদককে হয়রানি, তদন্তের নির্দেশ ড. ইউনূসের

গত ১৮ নভেম্বর একটি মিডিয়া সম্মেলনে দেশের বাইরে যাওয়ার সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হেনস্তার শিকার হন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক এবং নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক নুরুল কবির।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) ফেসবুকে নিজের ভেরিফাইড অ্যাকাউন্টে এক স্ট্যাটাসে এমন অভিযোগ তোলেন তিনি। এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, সম্প্রতি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিউ এজ সম্পাদক নুরুল কবিরকে হয়রানি করা হয়েছে। এ ঘটনার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। অন্তর্বর্তী সরকার দেশের কোনো সাংবাদিককে হয়রানি বরদাস্ত করবে না। নুরুল কবির তার দীর্ঘ কর্মজীবনে আমাদের সবচেয়ে সম্মানিত সম্পাদকদের একজন, যুক্তির প্রধান কণ্ঠস্বর এবং সাংবাদিকতা সততার শীর্ষ চ্যাম্পিয়ন। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

স্ট্যাটাসে নুরুল কবীর বলেন, ‘দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে বিদেশে যাওয়ার সময় ঢাকা বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ আমাকে হয়রানি করে আসছে। গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের আমার পাসপোর্ট কেড়ে নেওয়া, মুদ্রিত নথিতে সবকিছু লেখা থাকা সত্ত্বেও ভ্রমণের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ, প্রায় ঘণ্টাব্যাপী অপেক্ষা করানো, আমার গোপনীয়তা লঙ্ঘন করে পাসপোর্টের পৃষ্ঠার ছবি তোলা ও উড়োজাহাজ উড্ডয়নের কয়েক মিনিট আগে নথিপত্র ফেরত দেওয়ার মতো হয়রানির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। যদিও দেশে ফেরার সময় কোনো ঝামেলা পোহাতে হয়নি।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘এবার ১৮ নভেম্বর একটি মিডিয়া কনফারেন্সের জন্য বিদেশে যাচ্ছিলাম। আমি আশা করেছিলাম যে ঢাকা বিমানবন্দরে আমার হয়রানির দিনগুলো অন্তত কিছু সময়ের জন্য হলেও শেষ হয়েছে। কিন্তু আমার ধারণা ভুল। এবার বরং দ্বিগুণ হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে। দেশ ছাড়ার সময় এক ঘণ্টা এবং ২২ নভেম্বর দেশে ফেরার সময় আরো এক ঘণ্টা হেনস্তার সম্মুখীন হতে হয়েছে আমাকে। আমাদের দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো দেশপ্রেমিক হওয়াটাকে সন্দেহের চোখে দেখে।’