মিরপুরে আ.লীগ নেতার ছুরিকাঘাতে নারী ক্রেতাসহ কয়েকজন আহত
রাজধানী ঢাকার এলজির শো-রুমে এক নারী গ্রাহককে হেনস্তা ও কয়েকজনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। আজ বুধবার পশ্চিম শেওড়াপাড়ার ওই শো-রুমে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত একেএম সাইফুল ইসলাম কাফরুল থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমাতে মিরপুরে গুলিবর্ষণকারী যুবলীগ নেতা এসএম জাহিদের ক্যাশিয়ার হিসেবে পরিচিত।
জাহিদ ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্ত্বরে হেফাজতের সমাবেশে প্রকাশ্যে গুলি করে প্রথম আলোচনায় আসে। এরপর মিরপুরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে জাহিদ। অভিযুক্ত সাইফুল জাহিদের পরিচয় দিয়ে মিরপুর এলাকায় নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত।
জানা গেছে, ভুক্তভোগী মাইমুনা আক্তার নামের এক গৃহবধু কিস্তিতে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকায় এলজির শো-রুম থেকে দুটি ওয়াশিং মেশিন কিনেন। এর মধ্যে কিস্তিতে ৬৫ হাজার টাকা এবং সাইফুলের সঙ্গে তার স্বামী ব্যবসায়িক লেনদেনের মধ্য থেকে ৬৫ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়। যার মধ্যে কিস্তির ৬৫ হাজার টাকা এলজির হেড অফিসে জমা করা হলেও বাকি ৬৫ হাজার টাকা সমন্বয় করেননি সাইফুল।
এ নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে বুধবার দুপুরের দিকে শো-রুমের মধ্যেই ক্রেতা মাইমুনা আক্তারকে মারধর ও হেনস্থা করেন সাইফুল ও তার কর্মচারীরা। এ খবর জানতে পেরে মাইমুনার স্বামীর দোকানের কর্মচারীরা ছুটে এলে তাদের মধ্যে আতিকুল ইসলাম নামের একজনকে শো-রুমের এন্টিকাটার দিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।
এ বিষয়ে মিরপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গিয়াস উদ্দিন দ্য মিরর এশিয়াকে জানান, ঘটনাটি শুনেছি। তবে এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে ভুক্তভোগী মাইমুনা আক্তারের স্বামী স্থানীয় যুবদল নেতা মিলন বলেন, সাইফুল আওয়ামী লীগ আমলে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে। ওসি গিয়াস তাকে শেল্টার দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।