বিজিবির আগের নাম বহাল দাবি
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সাবেক নাম বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন ২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহে নিহতদের স্বজনরা। একই সঙ্গে ন্যা বিচার ও ট্রাজেডির স্বীকৃতির জন্য আটটি দাবি জানিয়েছেন তারা।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিডিআর কল্যাণ পরিষদের প্রতিনিধি মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন এসব দাবি তুলে ধরেন।
দাবির তালিকাটি বিদ্রোহের পরের ঘটনাগুলোর সঙ্গে জড়িত অভিযোগগুলোকে তুলে ধরে। এরমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য ন্যায়বিচার, স্বচ্ছতা এবং পুনর্বাসনের আহ্বান অন্তর্ভুক্ত।
মূল দাবিগুলো হলো-
বিডিআর নাম পুনর্বহাল: বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নাম পরিবর্তন করে এর মূল নাম বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) করা।
রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা প্রত্যাহার: রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত মামলা বাতিল এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, যাকে দলটি ‘ফ্যাসিবাদী স্বৈরশাসক’ হিসাবে উল্লেখ করেছে।
নিরপরাধ বন্দীদের মুক্তি: অন্যায়ভাবে ১৬ বছর ধরে কারাগারে বন্দী বিডিআর সদস্যদের নিঃশর্ত মুক্তি।
বিদ্রোহের পুনঃতদন্ত: সত্য উদঘাটনে হাইকোর্টের নির্দেশের আলোকে বিদ্রোহের দ্রুত পুনঃতদন্ত করতে হবে।
হেফাজতে মৃত্যুর জবাবদিহিতা: রিমান্ডে থাকা অবস্থায় বিডিআর সদস্যদের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ প্রকাশ, নির্যাতনজনিত প্রাণহানির জন্য দায়ীদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।
বরখাস্তকৃত কর্মীদের পুনর্বহাল: প্রায় ১৮ হাজার ৫২০ জন বরখাস্ত বিডিআর সদস্যকে পূর্বের চাকরিতে পুনর্বহাল করা।
ক্ষতিপূরণ ও সহায়তা: বকেয়া বেতন, ভাতা এবং পেনশনসহ আর্থিক ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি নিহত ও ক্ষতিগ্রস্ত বিডিআর সৈন্যদের পরিবারের পুনর্বাসন সহায়তা করা।
ট্র্যাজেডির স্বীকৃতি: বিদ্রোহের সময় যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের সম্মানে ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারিকে আনুষ্ঠানিকভাবে শহীদ সেনা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা।