মুজিবের গ্রাফিতি মোছায় ২ ছাত্র ইউনিয়ন নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

বাঁ থেকে অমর্ত্য রায় ও ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলি

ছাত্র ইউনিয়নের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) সংসদের সভাপতি অমর্ত্য রায় ও সাধারণ সম্পাদক ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

শেখ মুজিবুর রহমানের গ্রাফিতি মুছে ধর্ষণবিরোধী গ্রাফিতি করার অভিযোগে করা মামলায় তাদের বিরুদ্ধে এ আদেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) মামলার অভিযুক্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

২০২৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিকী অনুষদ ভবনের দেয়ালে পূর্বে আঁকা শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি মুছে একটি ধর্ষণবিরোধী চিত্র অঙ্কন করে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের নেতাকর্মীরা।

এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন ছাত্রলীগ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতাদের চাপে ছাত্র ইউনিয়নের দুই নেতাকে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়।

অভিযুক্ত অমর্ত্য রায় বলেন, শেখ মুজিবকে তারা (আওয়ামী লীগ) সব সময় কাল্ট ফিগার বানানোর চেষ্টা করেছে। সব অন্যায় অপকর্ম শেখ মুজিবকে দিয়ে ঢাকার চেষ্টা করেছে। তখন ধর্ষণকাণ্ডের ঘটনায় শেখ মুজিবের ছবি মুছে আমরা ধর্ষণবিরোধী গ্রাফিতি এঁকেছিলাম। সেই ঘটনায় এখন এসে মামলা হওয়া দুঃখজনক। ৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশে এগুলো কল্পনাই করা যায় না। এ ঘটনায় আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেই দায়ী করব। কারণ এখন পর্যন্ত তারা আমাদের অযৌক্তিক বহিষ্কারাদেশ তুলে নেয়নি, মামলা প্রত্যাহার করেনি।

ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলি বলেন, বিগত সরকারের আমলে ছাত্রলীগের দাবির মুখে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয় আমাদের বিরুদ্ধে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের দুইজনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করে এবং রাষ্ট্রীয় আইনে মামলা করে। ছাত্রলীগ, বিগত ভিসি-প্রক্টর, নিরাপত্তা প্রধান পালিয়ে গেলেও তাদের করা মামলা আর বহিষ্কার প্রত্যাহার হয়নি। গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন প্রশাসনের কাছে বারবার বহিষ্কার ও মামলা প্রত্যাহার করতে বলার পরেও তারা কর্ণপাত করেননি, উল্টো আমাদের বহিষ্কার ও মামলার দাবিতে আন্দোলন করা আওয়ামী সৈনিক সোহেল আহমেদকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসির দায়িত্বে পুরষ্কৃত করা হয়েছে। গত সিন্ডিকেটে এই বহিষ্কার ও মামলা বিষয়ে কোনো এজেন্ডাই রাখা হয়নি। এর থেকে আপনারা বুঝবেন, নতুন বাংলাদেশের নতুন প্রশাসনেও হাসিনার দোসরদের কেন রাখা হয়েছে, বুঝবেন কেন কী উদ্দেশ্যে কাদের অভিযোগগুলো ডিসমিস করা হচ্ছে আর কাদেরগুলো করা হচ্ছে না।