বিএসএমএমইউর দুই চিকিৎসকসহ ১৫ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত

বিএসএমএমইউর দুই চিকিৎসকসহ ১৫ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কেবিন ব্লকের সামনে সংঘটিত হত্যার ঘটনায় দুই চিকিৎসকসহ ১৫ কর্মকর্তা কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে এ সময় তারা নিয়মিত বেতন-ভাতা পাবেন। 

রোববার (৫ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। 

আদেশে বলা হয়, ২০২৪ সালের ১২ ডিসেম্বর সিন্ডিকেটের ৯৪তম সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকের সম্মুখে সংঘটিত হত্যার সঙ্গে জড়িত বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত নিম্নলিখিত চিকিৎসক, সিনিয়র স্টাফ নার্স ও কর্মচারীদের দক্ষতা ও শৃঙ্খলা অধ্যাদেশের ধারা ২ এর (ছ), (জ), (ঝ) ও (ঢ) অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

বরখাস্ত হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, কার্ডিওলজি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. আবু তোরাব আলী মিম, চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াজ সিদ্দিকী প্রাণ, হাসপাতাল শাখার পরিচালকের অফিসের পেইন্টার নিতীশ রায়, মো. সাইফুল ইসলাম, পরিচালক অফিসের এমএলএসএস কাজী মেহেদী হাসান, সহাকারী ড্রেসার শাহিদুল ইসলাম (সাইদুল), সুইপার সন্দীপ, রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের অফিস সহকারী উজ্জল মোল্লা, পরিবহন শাখার ড্রাইভার সুজন বিশ্ব শর্মা, ওপিডি-১ এর এমএলএসএস ফকরুল ইসলাম জনি, ল্যাবরেটরি সার্ভিস সেন্টারের কাস্টমার কেয়ার এটেনডেন্ট রুবেল রানা, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স শবনম নূরানী। এছাড়া তিনটি আলাদা বিভাগের এমএলএসএস শাহাদাত, মুন্না আহমেদ, এমএলএসএস আনোয়ার হোসেন। 

তবে বরখাস্ত হলেও নিয়মিত বেতন পাবেন তারা। এ বিষয়ে বলা হয়, সাময়িক বরখাস্ত (সাসপেন্ড) কালীন সময়ে দক্ষতা ও শৃঙ্খলা অধ্যাদেশের ১৪ ধারা অনুযায়ী উল্লিখিত চিকিৎসক, সিনিয়র স্টাফ নার্স ও কর্মচারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়মে বেতন ও ভাতাদি প্রাপ্য হবেন। বিধি মোতাবেক তাদের চাকরি নিয়ন্ত্রত হবে। এই আদেশ ৫ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।