আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও সংস্কার কার্যক্রমকে সমর্থন করি

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার বাস্তবায়নে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন সফররত ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (ইআইবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট নিকোলা বিয়ার। তিনি বলেছেন, ‘আমরা খুব চ্যালেঞ্জিং সময়ে (বাংলাদেশে) এসেছি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং তাদের সংস্কার এজেন্ডাকে আমরা সমর্থন করি।’

বুধবার (৮ জানুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।

বিয়ার বলেন, ‘সহায়তা দিতে ইইউর প্রযুক্তিগত দক্ষতা রয়েছে। আমরা সবকিছুই করতে পারি, দয়া করে আমাদের বলবেন।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কেবল কাজ করছে না, (তাদের কাজের) ফলাফলও আছে। তবে এটি দৃশ্যমান করাও গুরুত্বপূর্ণ।’

বর্তমান সময়কে উপযুক্ত উল্লেখ করে ড. ইউনূস দুর্নীতি রোধ, জ্বালানিতে সবুজ রূপান্তর এবং সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ বন ও সংলগ্ন অঞ্চল ও নদী ব্যবস্থার জন্য একটি বৃহত্তর পরিকল্পনা প্রণয়নে ইআইবির সহায়তা কামনা করেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, তিনি বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলের জনগণের উন্নয়ন এবং উত্তরাঞ্চলের পানি ব্যবস্থাপনায় চট্টগ্রাম বন্দরে স্থাপনা নির্মাণেও ইআইবির সহায়তা কামনা করেছেন।

ড. ইউনূস বলেন, ‘এ অঞ্চলের সর্ববৃহৎ বন্দর বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলের উন্নয়ন পূর্ব ভারত ও মিয়ানমারকেও উপকৃত করবে।’

তিনি গত বছরের সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ইইউ প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েনের সঙ্গে তার বৈঠকের কথাও স্মরণ করেন। বৈঠকে তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তার সম্ভাব্য ক্ষেত্র এবং জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান স্থানান্তর নিয়ে আলোচনা করেছিলেন।

প্রধান উপদেষ্টা সম্প্রতি ইইউ রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে তার বৈঠকে সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনার কথাও উল্লেখ করেন।

ড. ইউনূস আগামী সাধারণ নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার স্থানীয় সরকারকে সত্যিকার অর্থে ‘স্থানীয় সরকার’ হিসেবে গড়ে তোলা নিশ্চিত করতে একই সঙ্গে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, বিডার চেয়ারম্যান আশিক মাহমুদ চৌধুরী, এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ, ইআরডি সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।