কারামুক্ত হলেন ডেসটিনির রফিকুল আমীন
এক যুগ কারাগারে থাকার পর মুক্তি পেয়েছেন ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীন। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) কারা উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন্স-ঢাকা বিভাগ) জাহাঙ্গীর কবির ইউএনবিকে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় তিনি কারাগার থেকে বেরিয়ে যান।
গ্রাহকের দুই হাজার ২৫৮ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে রফিকুল আমীনসহ ১৯ জনকে ১২ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে, রফিকুল আমীন গত ১২ বছর ধরে কারাগারে আছেন।
রায়ে আদালত জানান, কারাগারে থাকার বয়স সাজা থেকে বাদ যাবে। সেক্ষেত্রে এমডি রফিকুল আমীনের সাজা হয়ে গেছে। তার বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা না থাকায় কারামুক্তি পান। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারুনুর রশিদ, প্রধান কার্যালয়ের চেয়ারম্যান মো. হোসেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ গোফরানুল হক, সাইদ-উর রহমান, মেজবাহ উদ্দিন স্বপন, ইঞ্জিনিয়ার শেখ তৈয়েবুর রহমান ও গোপাল চন্দ্র বিশ্বাস, পরিচালক সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, ইরফান আহমেদ সানী, মিসেস ফারহা দিবা ও জামসেদ আরা চৌধুরী, প্রফিট শেয়ারিং ডিস্ট্রিবিউটর মো. জসিম উদ্দীন ভূঁইয়া, ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন ও সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ, ডায়মন্ড এক্সিকিউটিভ এস এম আহসানুল কবির বিপ্লব, জোবায়ের সোহেল ও আব্দুল মান্নান এবং ক্রাউন এক্সিকিউটিভ মোসাদ্দেক আলী খান।
রায়ে ১২ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি আদালত আসামিদের চার হাজার ৫১৫ কোটি ৫৭ লাখ ৫৪ হাজার ৪৫৪ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে আসামিদের এই অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অর্থদণ্ড পরিশোধ না করলে জেলা প্রশাসনকে অর্থদণ্ড আদায় করার ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন দুদকের পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর। তিনি বলেন, অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। আইনে থাকা সর্বোচ্চ সাজা দিয়েছেন আদালত। রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ খুশি। গত বছর ১১ নভেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করেন।