সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ

রেলওয়ের রানিং স্টাফদের কর্মবিরতিতে সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। 

গতকাল সোমবার মধ্যরাতের পর থেকেই রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।

মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন এবং আনুতোষিক সুবিধা দেওয়ার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন রানিং স্টাফরা।

এই রানিং স্টাফরা হলেন গার্ড, ট্রেনচালক (লোকোমাস্টার), সহকারী চালক ও টিকিট পরিদর্শক (টিটিই)। 

তারা সাধারণত দীর্ঘ সময় ট্রেনে দায়িত্ব পালন করেন। দৈনিক আট ঘণ্টার বেশি কাজ করলে বেসিকের (মূল বেতন) হিসেবে বাড়তি অর্থ পেতেন তারা। এ ছাড়া অবসরের পর বেসিকের সঙ্গে এর ৭৫ শতাংশ অর্থ যোগ করে অবসরকালীন অর্থের হিসাব হতো। তবে ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর এই সুবিধা সীমিত করে অর্থ মন্ত্রণালয়।

গত বুধবার চট্টগ্রামে পুরোনো রেলস্টেশনে সংবাদ সম্মেলন করে ২৭ জানুয়ারির মধ্যে দাবি মানার শর্ত দেয় রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন। অন্যথায় ২৮ জানুয়ারি থেকে রেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেয় তারা।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকী বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফদের দাবি বহুলাংশে মেনে নেওয়া সত্ত্বেও তারা তাদের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি থেকে সরে আসেনি। এ কারণে আজ মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) থেকে রেল চলাচলে বিঘ্ন ঘটতে পারে৷ রেলের যাত্রা বাতিল হলে আগে কেনা টিকিটের টাকা ফেরত দেবে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ইউএনবিকে জানান,  সোমবার রাত ১২টা পর্যন্ত যেসব ট্রেনের সিডিউল ছিল কিন্তু ছাড়তে দেরি হয়েছে। তবে সেসব ট্রেন রাত ১২টার পরেও প্রারম্ভিক স্টেশন ছেড়ে গেছে। সোমবার সিডিউল ফ্রেন্ড সর্বশেষ রাত ১টায় কমলাপুর স্টেশন ছেড়ে যায়। অর্থাৎ ১২টার পরে যেসব ট্রেনের সিডিউল ছিল কোনোটাই কর্মবিরতির কারণে ছেড়ে যায়নি। সেসব ট্রেনের যাত্রীদের অনলাইন এবং অফলাইন টিকেটের টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে।