দেশ টিভির এমডি আরিফসহ ১৯ জনের নামে দুটি মামলা
জালিয়াতির মাধ্যমে দুটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ নিয়ে প্রায় ৭৭০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে দেশ টেলিভিশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও হাসান টেলিকম লিমিটেডের চেয়ারম্যান আরিফ হাসানসহ ১৯ জনের নামে দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ থেকে মামলাগুলো করা হয়েছে। দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, ব্রডওয়ে রিয়েল এস্টেট লিমিটেড এবং প্রকৃতি অ্যাসোসিয়েটস নামে দুটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ নেওয়া হয়েছে।
এতে ন্যাশনাল ব্যাংকের কিছু কর্মকর্তাও জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন ব্রডওয়ে রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. ইসমাইল, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শরীফ উজ্জামান খান, পরিচালক মোহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও তওসিফ সাইফুল্লাহ।
এছাড়াও ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক চৌধুরী মোসতাক আহমেদ, সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক সৈয়দ রইস উদ্দিন, সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) এ এস এম বুলবুল ও এম এ ওয়াদুদ, সিকদার গ্রুপের সদস্য মনোয়ারা সিকদার, পারভীন হক সিকদার, রণ হক সিকদার, খলিলুর রহমান, মাবরুর হোসেন, বর্তমান পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন এবং মোহাম্মদপুরের সাবেক সাব-রেজিস্ট্রার মো. রজব আলী।
প্রকৃতি অ্যাসোসিয়েটসের স্বত্বাধিকারী মো. শরীফ-উজ্জামান খান, ন্যাশনাল ব্যাংকের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. জহিরুল ইসলাম ও সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আবু রাশেদ নোয়াবকেও আসামি করা হয়েছে।
প্রথম মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ব্রডওয়ে রিয়েল এস্টেট লিমিটেড নামে একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠান তৈরি করে সিকদার পরিবার ও আরিফ হাসান পরস্পর যোগসাজশে ন্যাশনাল ব্যাংকের মহাখালী শাখা থেকে ৪৯০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়। এজন্য ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার করা হয় এবং ব্যাংকিং নীতিমালা উপেক্ষা করে ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়।
গত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত অনাদায়ে সুদসহ মোট ৬৬৮ কোটি ৮৯ লাখ ১১ হাজার টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
দ্বিতীয় মামলায় বলা হয়েছে, প্রকৃতি অ্যাসোসিয়েটস নামে আরেকটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে ৮০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়। গত বছরের ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত ২১ কোটি ২৪ লাখ ১৯৯ টাকাসহ মোট ১০১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ ঘটনায় আরিফ হাসানসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলছে। দুদকের তদন্তে আরও তথ্য উঠে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।