কুয়েটের ভিসির বাসভবনে তালা, আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ৯৮তম সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) রাতে ‘রক্তাক্ত কুয়েট’ চিত্র প্রদর্শনী শেষে শিক্ষার্থীরা এ ঘোষণা দেন। পরে মিছিল নিয়ে ভিসির বাসভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন তারা।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ‘রক্তাক্ত কুয়েট’ সহিংস ঘটনার চিত্র তুলে ধরে এই প্রদর্শনী আয়োজন করেন। তারা জানান, ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটের কিছু শিক্ষার্থীর সহায়তায় বহিরাগতরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর যে হামলা চালায়, তার প্রমাণস্বরূপ এই প্রদর্শনী।
প্রদর্শনী শেষে কুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এক ঘোষণায় বলেন, আমাদের মূলত দাবি ছিল ৬টা। সিন্ডিকেটে কিছু কিছু দাবি কৌশলে এড়িয়ে নিজেদের মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যার সঙ্গে শিক্ষার্থীরা কোনোভাবেই একমত না। সুতরাং দাবি না আদায় পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে।
এদিন রাত ১০টার দিকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভিসি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাছুদের বাসভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা আমাদের ড. মাসুদ স্যারকে (ভিসি) নাকি নির্যাতন করেছি বলে যে অপপ্রচার চালানো হয়েছে— তা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা। আমরা যথেষ্ট সম্মানের সঙ্গে আচরণ করেছি। তার শরীরে একটি টোকা দিয়েছি এমন কোনো প্রমাণ বা ভিডিও কেউ দেখাতে পারবে না।
তারা বলেন, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের বিষয়টি ইতোপূর্বে সিন্ডিকেট মিটিংয়ে কঠোরভাবে পালনের নির্দেশনা দেওয়া হলেও, তা মেনে চলা হচ্ছে না। তাই এ বিষয়টি প্রশাসনিক অধ্যাদেশ গুরুত্বের সঙ্গে কার্যকর করতে হবে।
তারা আরও বলেন, অপপ্রচার চালানো হয়েছে প্রশাসন আমাদের পাঁচটি দাবি মেনে নিয়েছেন। অথচ এটি মিথ্যা। আমাদের কেবল আশ্বস্ত করা হয়েছে। তারা যে কমিটি গঠন করেছে, সেখানে সাধারণ ছাত্রদের কাউকে রাখা হয়নি। এ কমিটির প্রতি আমাদের কোনো আস্থা নেই।
উল্লেখ্য, গেল ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদলের ফরম বিতরণকে কেন্দ্র করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এরপর শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় অংশ নেয় স্থানীয় বহিরাগতরাও। এ নিয়ে কুয়েটের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় কুয়েটের একাডেমিক কার্যক্রম ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়।