বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতার বাড়িতে জামায়াত নেতার হামলা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা শাখার সদস্যসচিব আসাদুজ্জামান আলীর বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির আফজাল হোসাইন এবং তার লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আফজাল।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে কুমারখালী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের এলেঙ্গিপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
আসাদুজ্জামান আলী জানান, আজ সকালের দিকে থানার একটা বিষয় নিয়ে কুমারখালী উপজেলা জামায়াতের আমির আফজাল হোসাইনের সঙ্গে ফোনে তাঁর বাগ্বিতণ্ডা হয়। এরপর দুপুর ১২টার দিকে আফজাল হোসাইনের নেতৃত্বে ২০০ থেকে ৩০০ মানুষ তাঁর বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করে। হামলাকারীরা টিভি, ফ্রিজ, আসবাবসহ বিভিন্ন জিনিস ভাঙচুর করেছে।
এ সময় তারা নগদ টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। প্রায় ১ ঘণ্টা এই তাণ্ডব চালিয়েছে তারা। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান আসাদুজ্জামান আলী।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আসাদুজ্জামান আলী বলেন, ‘আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি। তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হোক।’
অভিযোগ অস্বীকার করে কুমারখালী উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির আফজাল হোসাইন বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ জনতা তার বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে। এর সঙ্গে কোনো সংগঠন জড়িত নয়। বিক্ষুব্ধ জনতাকে আমরা কীভাবে ঠেকাব। তারা অতিষ্ঠ হয়ে তার বাড়ি ভাঙচুর করেছে। এর সঙ্গে জামায়াতের নেতা বা জামায়াত কোনোভাবেই সম্পৃক্ত নয়। ঘটনার সময় আমি আমার অফিসে ছিলাম।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুষ্টিয়া জেলা শাখার আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমারখালী শাখার সদস্যসচিব আসাদুজ্জামান আলীর বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বিষয়টি নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে দেখা হোক। একই সঙ্গে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।’
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলাইমান শেখ বলেন, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের টিম গেছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।