চুয়াডাঙ্গায় সংঘর্ষে সাবেক বিএনপি নেতা নিহত, আহত ২
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নে টিসিবির কার্ড বিতরণকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে রফিকুল ইসলাম রফিক (৫০) নামের সাবেক এক বিএনপি নেতা নিহত হয়েছেন।
শনিবার (৮ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদে সামনের বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরও দুজন আহত হয়েছেন। তবে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি।
নিহত রফিক চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
স্থানীয় কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী নাম প্রকাশ না করে জানান, পূর্ব বিরোধ ও আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারিভাবে ১০ কেজি পরিমাণ ভিজিএফের চাল বিতরণ করাকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষ হয়েছে। তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মিলন মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম টোটনের লোকজনের সাথে নিহত রফিকের বাকবিতণ্ডা বাধে। একপর্যায়ে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে তাদের লোকজন রফিককে মারধর করতে থাকে।
‘দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এরমধ্যেই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের লোকজন রফিকের মুখ ও মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়,’ বলেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) খন্দকার গোলাম মওলা (বিপিএম-সেবা) এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। বিস্তারিত জানতে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গেছে। তদন্ত শেষে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু জানান, আওয়ামী লীগের লোকজন দলে অনুপ্রবেশ করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি করেছে। আমরা প্রকৃত ঘটনা উন্মোচন করে দায়ীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।