বাংলাদেশে ধর্ষকদের কোনো স্থান হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাংলাদেশে ধর্ষকদের কোনো স্থান হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশে ধর্ষণের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে৷’
রবিবার (৯ মার্চ) আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এসব কথা বলেন৷
তিনি বলেন, ‘মাগুরার ঘটনায় যারা অভিযুক্ত তাদের সবাইকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতে কাজ করবে সরকার। একইভাবে যদি দেশের কোথাও নারীর প্রতি কোনো সহিংসতা বা ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটে, তাদেরকে সম্পূর্ণভাবে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘ধর্ষণসহ নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট। আমি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর অবস্থান নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। এ যাবৎ পর্যন্ত নারীদের উপর যত সহিংসতা হয়েছে সেগুলোর তালিকা করে দ্রুত তদন্ত সম্পন্ন করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি ঘটে যাওযা ধর্ষণের ঘটনাগুলোর সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করা হবে ও কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে। নারীরা নির্ভয়ে, নির্বিঘ্নে ঘরে-বাইরে দায়িত্ব পালন করবে। এতে যারা তাদের বাধা দিতে আসবে, সহিংসতা করতে আসবে তাদেরকে আইনের আওতায নিয়ে আসা হবে। এ ব্যাপারে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না। ধর্ষণসহ নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন ও সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিজবুত তাহরীর৷ আপনারা দেখেছেন, গত (শুক্রবার) জুমার নামাজ শেষে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিজবুত তাহরীরর সদস্যরা বায়তুল মোকাররম এলাকায় একটি মিছিল করে। পরে পুলিশের বাধার মুখে সেটি পণ্ড হয়ে যায় ও তাদের কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়।’
এছাড়া কোনোভাবেই কোনো নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনকে কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেওয়া হবে না, এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রযেছে বলেও জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, কিছুদিন আগে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় এক এসআইকে কিছু স্থানীয় মাদকসেবী, দুষ্কৃতকারী ও ছিনতাইকারীরা মব সৃষ্টি করে মারধর করেছে যাদেরকে পরবর্তীতে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।’
তিনি ছাত্র-জনতাসহ সবাইকে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আপনারা কেউ আইন কেউ নিজের হাতে তুলে নিবেন না। কোনো ঘটনা ঘটলে নিকটস্থ থানা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যকে অবহিত করুন। তারা আইনানুগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’