সাবেক মেয়র আতিকুলসহ দশজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ১২ মে
জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র জনতার আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর উত্তরায় সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র মো. আতিকুল ইসলামসহ দশজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য ১২ মে দিন ধার্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আসামিদের উপস্থিতিতে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ বিষয়ে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য দুইমাস সময় বৃদ্ধির একটি আবেদন মঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
রবিবার (৯ মার্চ) বেলা ১২টা ২০ মিনিটে ঢাকা উত্তর সিটির সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামসহ দশজনকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন মণ্ডল, উত্তরা পূর্ব থানা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মো. শাহিনুর মিয়া, উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টর আওয়ামী লীগের সভাপতি বশির উদ্দিন, মহানগর উত্তরের এক নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন রুবেল, উত্তরা পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মনোয়ার ইসলাম চৌধুরী রবিন, ওসি মজিবুর রহমান, এসি জাবেদ ইকবাল, কনস্টেবল হোসেন আলী এবং কনস্টেবল ওমর আলী।
এ মামলায় প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে উত্তরা পূর্ব থানার সাবেক ওসি মজিবুর রহমান ও উত্তরা এলাকার ডিবির সাবেক এসি জাবেদ ইকবালকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করলে ট্রাইব্যুনাল তাদের যথাক্রমে আগামী ১৬ ও ১৮ মার্চ তারিখে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনুমতি দেন।
এছাড়াও প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে রামপুরা এলাকায় গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হলে ট্রাইব্যুনাল সেটিও মঞ্জুর করেন। তবে গ্রেপ্তারে বিলম্ব এড়াতে তাদের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম।
প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম। এ সময়ে সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর -আব্দুস সোবহান তরফদার, মো. মিজানুল ইসলাম, বিএম সুলতান মাহমুদ, গাজী এমএইচ তামিম, মো. শহিদুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল নোমান, ব্যারিস্টার মইনুল করিম ও তারেক আব্দুল্লাহ।