নাবিল গ্রুপের ৭৩ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ, জব্দ ১৭৮ বিঘা জমি
নাবিল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম, তার পরিবারের সদস্য ও স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের নামে থাকা ৭৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব হিসাবে ৯৮ কোটি ৯৪ লাখ ১৭ হাজার ২৮০ টাকা রয়েছে। একইসঙ্গে রাজশাহীর পবা থানায় থাকা ১৭৮ বিঘা জমি জব্দের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (৯ মার্চ) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, দুদকের উপপরিচালক মাসুদুর রহমান পৃথক দুটি আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন। আবেদনে বলা হয়েছে, নাবিল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম, তার পরিবারের সদস্যগণ ও সম্পর্কযুক্ত প্রতিষ্ঠানের নামে জাল জালিয়াতি, প্রতারণা ও ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে ব্যাংক হতে ঋণ গ্রহণপূর্ব আত্মসাৎ ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ রয়েছে। অনুসন্ধান পর্যায়ে প্রাপ্ত তথ্য উপাত্তে অভিযোগসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে কিছু ব্যাংক হিসাবের তথ্য পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন : নাবিল গ্রুপের ঋণ জালিয়াতির ‘নাটের গুরু’ লিটন
এসব হিসাবসমূহের অর্থ যেকোন সময় উত্তোলনপূর্বক হস্তান্তর, রূপান্তর কিংবা স্থানান্তরিত হয়ে বিদেশে পাচার হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। মানিলন্ডারিং অপরাধে অনুসন্ধানের শেষ পর্যন্ত উক্ত অর্থের কোনরূপ হস্তান্তর, রূপান্তর বা স্থানান্তর বন্ধ করা প্রয়োজন। নতুবা অনুসন্ধান পরবর্তী আইনি কার্যধারা গ্রহণসহ প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অপরাধলব্ধ অর্থ পুনরুদ্ধার বাধাগ্রস্ত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে ও পরবর্তী আইনি কার্যধারা গ্রহণসহ প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অপরাধলব্ধ অর্থ পুনরুদ্ধারের স্বার্থে অভিযোগের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা হিসাবসমূহ অবিলম্বে অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।
এছাড়া অনুসন্ধান পর্যায়ে প্রাপ্ত তথ্য উপাত্তে অভিযোগ সংশ্লিষ্টব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে কিছু স্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। এসব স্থাবর সম্পদ সমূহ যেকোনভাবে বিক্রয় বা হস্তান্তর হয়ে যেতে পারে। মানিলন্ডরিং অপরাধে অনুসন্ধানের শেষ পর্যন্ত এসব সম্পদের হস্তান্তর, রূপান্তর বা স্থানান্তর বন্ধ করা প্রয়োজন। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে স্থাবর সম্পত্তিসমূহ অবিলম্বে জব্দ করা আবশ্যক।