ঈদে চলবে ৫ জোড়া বিশেষ ট্রেন, টিকিট বিক্রি ১৪ মার্চ থেকে
আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো যাত্রীদের ভ্রমণের সুবিধার্তে দেশের পাঁচটি রুটে বাড়তি পাঁচ জোড়া ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
রবিবার (৯ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, নিয়মিত আন্তঃনগর ট্রেনসমূহ আগের সময়সূচি অনুযায়ী চলবে। তবে ট্রেনের সাপ্তাহিক কোনো বিরতি থাকবে না।
বিশেষ ট্রেনগুলো চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম, ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা, ভৈরববাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরববাজার, ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ এবং জয়দেবপুর-পার্বতীপুর-জয়দেবপুর রুটে চলাচল করবে।
এসব ট্রেনের সূচি অনুযায়ী শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে। একজন যাত্রী ঈদ অগ্রিম যাত্রা ও ফেরত যাত্রার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ একবার টিকিট করতে পারবেন।
এতে আরও বলা হয়, ঈদের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ৩১ মার্চ ও ১ ও ২ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে। পশ্চিমাঞ্চলের চলাচলরত আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট সকাল ৮টা থেকে বিক্রি করা হবে এবং পূর্বাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট দুপুর ২টা থেকে বিক্রি করা হবে। আর পশ্চিমাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের ট্রেনের ঈদযাত্রার ফিরতি টিকিট সকাল ৮টা থেকে বিক্রি করা হবে।
টিকেটধারী যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য ভ্রমণের সুবিধার্থে ঈদের পূর্বে ২৪ মার্চ থেকে ঈদের আগেরদিন পর্যন্ত জয়দেবপুর স্টেশন হতে ঢাকামুখী এবং ঢাকা স্টেশন হতে জয়দেবপুরমুখী আন্তঃজোনাল আন্তঃনগর ট্রেনে কোনো টিকেট ইস্যু করা হবে না।
একইভাবে বিমানবন্দর স্টেশন থেকে ঢাকাগামী এবং ঢাকা স্টেশন হতে বিমানবন্দরগামী আন্তঃনগর ট্রেনে কোনো টিকেট ইস্যু করা হবে না।
এছাড়া ঈদ যাত্রা শুরুর দিন ২৬ মার্চ থেকে ঈদের আগেরদিন পর্যন্ত ঢাকা অভিমুখী একতা, দ্রুতযান, পঞ্চগড়, নীলসাগর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রংপুর, চিলাহাটি ও বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনসমূহের ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে যাত্রা বিরতি থাকবে না।
ঈদের ১০ (দশ) দিন পূর্বে এবং ঈদের পরে ১০ (দশ) দিন পর্যন্ত ট্রেনে সেলুনকার সংযোজন করা হবে না। সুন্দরবন, মধুমতি, বেনাপোল, জাহানাবাদ, রূপসীবাংলা এক্সপ্রেস ও নকশীকাঁথা কমিউটার ট্রেন ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের শহরতলী প্লাটফরম থেকে পরিচালনা করা হবে।