আ.লীগের সবার হাতে রক্ত, সেই দলে সাকিবের যাওয়া ঠিক হয়নি: প্রেস সচিব
আওয়ামী লীগের সবার হাতে রক্তের দাগ মন্তব্য করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘সেই দল থেকে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের নির্বাচন করা ঠিক হয়নি।’
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে মাগুরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।
প্রেস সচিব বলেন, ‘মাগুরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসান ক্রিকেট খেলাকে সর্বোচ্চ উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। আবার সেই সাকিব আল হাসান আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচন করেছেন। আওয়ামী লীগের প্রত্যেকটি নেতা-কর্মীর হাতে রক্ত, খুন; তারা গুমে জড়িত, ব্যাংক ডাকাতিতে জড়িত। আওয়ামী লীগ জুলাই আন্দোলনে তিন-চার হাজার ছাত্র-জনতাকে খুন করেছে। একজন বিশ্বসেরা ক্রিকেটার হয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন সাবেক এ সংসদ সদস্য।’
ইলিয়াস আলীর কথা মনে করিয়ে তিনি বলেন, ‘তিনি ২০১২ সালে গুম হন। ২০১৮ সালের নির্বাচন কীভাবে হয়েছিল, সাকিব আল হাসান তা ভালোভাবে জানতেন।’
সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে সাকিব আল হাসান বলেছেন, কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়া তো ভুল নয়। এ প্রসঙ্গ টেনে শফিকুল আলম বলেন, ‘বাংলাদেশের যেকোনো মানুষের রাজনৈতিক দলে যোগদান করা ভুল নয়, বরং আনন্দের বিষয়। তবে ভুল তথ্য নিয়ে কোনো রাজনৈতিক দলে যোগদান করলেন, জেনে বুঝে কি জঙ্গি পার্টিতে যোগদান করবেন?’
‘মাগুরায় ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত একটি নির্বাচনও কি ঠিকভাবে হয়েছে? সব ছিল সাজানো নির্বাচন। ২০২৪-এর জুলাই-আগস্টের আন্দোলন সারা দেশের মতো মাগুরাতেও হয়েছে। আন্দোলনে নির্মমভাবে তিন-চারটা ছেলে মারা গেছে। সাকিব তো তখন মাগুরার সংসদ সদস্য। তিনি কি আন্দোলনে নিহত মানুষের কথা জানতেন না?’
‘সাকিব কি কখনও বলেছেন, আমি সরি, আমার নির্বাচনি এলাকার মধ্যে নিহত হয়েছে। আমি এর নিন্দা জানাই?,’ প্রশ্ন রাখেন তিনি।
প্রেস সচিব বলেন, ‘২০২৪ সালে মাগুরা-১ আসনের সংসদ নির্বাচন কাভার করতে এসেছিলাম। এই নির্বাচনি এলাকায় কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না। একটা সাজানো নির্বাচন ছিল। আগে থেকেই বোঝা যাচ্ছিল—কে জিতবে কে হারবে। অনেক রাজনৈতিক প্রার্থী এক-দুই মাস ধরে নির্বাচনি প্রচার করেন। সেখানে সাকিব আগে থেকে জানতেন, তার হয়ে কেউ তাকে নির্বাচনে বিজয়ী করে দেবে।’
শফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘মাগুরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল স্থানান্তরিত হচ্ছে না। হাসপাতালটির উন্নয়নে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দেশের অন্য একটি ভালো মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। মাগুরা মেডেকিলে কলেজ হাসপাতালটি খুবই ভালো মানের। ইতোমধ্যে মেডিকেল কলেজটি ফলাফলের দিক থেকে চারবার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে।’
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন—মাগুরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ অহিদুল ইসলাম, মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল হাসান, সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল্লাহে কাফীসহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা।