সংঘাত নয়, শান্তি চায় ঢাকা: পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে উপদেষ্টা তৌহিদ
বাংলাদেশ এই অঞ্চলে যেকোনো ধরণের সংঘাত এড়িয়ে শান্তি বজায় রাখার পক্ষে বলে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
সোমবার (৫ মে) রাতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বাংলাদেশের এই বার্তা দেন। এসময় তিনি যেকোনো সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করার জন্য সংলাপের গুরুত্বও তুলে ধরেন।
মঙ্গলবার (৬ মে) সাংবাদিকের এক প্রশ্নে তিনি এসব কথা বলেন।
তৌহিদ বলেন, ‘পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমাকে ফোন করার পর থেকে আমি তাকে বলেছি— আমরা শান্তি চাই। আমরা এখানে কোনো সংঘাত দেখতে চাই না।’
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইসহাক দারের সঙ্গে সোমবার রাতে হওয়া তার কথোপকথন সম্পর্কে জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
ভারতকে বার্তাটি জানানো হবে কিনা এমন প্রশ্নে হোসেন বলেন, ‘ভারত যদি আমার কাছ থেকে কিছু জানতে চায়, তাহলে আমি দিল্লিকেও ঠিক একই কথা বলব। আগে থেকে আমার কিছু বলার দরকার নেই।’
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই অঞ্চলে সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর পর ইসলামাবাদ কী পদক্ষেপ নিয়েছে সে সম্পর্কে তাকে অবহিত করার জন্য ফোন করেছেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘তিনি কোনো সমর্থন বা কোনো বিশেষ প্রতিক্রিয়া চাননি। আমি কেবল বলেছিলাম যে শান্তি বজায় রাখা দরকার এবং উত্তেজনা কমাতে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। এমন কোনো ঘটনা ঘটা উচিত নয়, যা উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। এটি আমাদের প্রত্যাশা। আমরা আলোচনার মাধ্যমে যেকোনো সমস্যার সমাধান চাই।’
টেলিফোনে কথোপকথনের সময় তিনি এই অঞ্চলের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সকল পক্ষের সংযম প্রদর্শনের গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন বলে জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, হোসেন উত্তেজনা দূর করার প্রয়োজনীয়তার উপরও জোর দেন।
সোমবার রাত ১০টা ৪১ মিনিটে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলের এক পোস্টে এসব তথ্য জানায়।
উপপ্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের ভিত্তিহীন অভিযোগ এবং একতরফা পদক্ষেপের ফলে ক্রমবর্ধমান আঞ্চলিক উত্তেজনা সম্পর্কে উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। এর মধ্যে সিন্ধু পানি চুক্তির বিধান স্থগিত করার ভারতের স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্তের বিষয়টি রয়েছে।
উভয় পক্ষই পাকিস্তান ও বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার জন্য তাদের পারস্পরিক প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। নিয়মিত উচ্চ পর্যায়ের যোগাযোগ বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন তারা।
তারা আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক ফোরামে সহযোগিতা বৃদ্ধির সুযোগ নিয়েও আলোচনা করেছেন।