যশোর সীমান্তের ৭০ কিলোমিটারে সতর্ক বিজিবি
ভারত ও পাকিস্তানের চলমান সংঘাতকে ঘিরে যশোরের ৭০ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। তবে বিজিবি টহল জোরদারের পাশাপাশি গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানোয় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।
বিজিবি-৪৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী জানিয়েছেন, যশোর-৭০ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা ওই এলাকায় টহল জোরদার করেছেন। সীমান্তজুড়ে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয়রাও সীমান্তের দিকে নজর রাখছেন।
তিনি বলেন, ‘ভারত থেকে যাতে কোনো অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশে ঢুকতে না পারে, সেজন্য টহল জোরদার করেছে বিজিবি।’
সীমান্তবর্তী উপজেলা শার্শার বাসিন্দা আল মামুন জানান, যশোরে সীমান্ত পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক আছে। বিএসএফের অপতৎপরতায় কোনো প্রকার অনুপ্রবেশ বা চোরাচালানের বিরুদ্ধে বিজিবির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে প্রস্তুত এলাকাবাসী।’
সীমান্ত এলাকার জনপ্রতিনিধি আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা থাকলেও এখানকার পরিস্থিতি আপাতত স্বাভাবিক। তবে আগে ৫০০ গজ অন্তর অন্তর একজন বিএসএফ সদস্য দায়িত্ব পালন করলেও এখন ৩০০ গজ অন্তর অন্তর তাদের দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। এটা কিছুটা ভাবিয়ে তুলেছে। বিএসএফ যদি কোনোরকম তৎপরতা দেখায়, তাহলে বিজিবির সঙ্গে আমরা স্থানীয়রা মিলে তা প্রতিহত করব।’
এদিকে, খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ৮১ জন ভারতীয় নাগরিককে ঠেলে দিয়েছে (পুশ-ইন) ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বিজিবির দেওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, জেলার মাটিরাঙ্গার শান্তিপুর সীমান্ত দিয়ে ২৭ জন, পানছড়ি উপজেলার রুপসেন পাড়া সীমান্ত দিয়ে ৩০ জন, তাইন্দংয়ের আচালং বিটিলা বিওপি সীমান্ত দিয়ে ২৩ জন, রামগড় সীমান্ত দিয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন ১ জনসহ মোট ৮১ জন বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পুশ-ইন করিয়েছে ভারতীয় বাহিনী।
খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা, পানছড়িসহ বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় মুসলিম নাগরিকদের বাংলাদেশে পুশ ইনের ঘটনায় সীমান্তজুড়ে ভয় ও আতঙ্ক ছড়িতে পড়েছে।