আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করল নির্বাচন কমিশন
আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে সরকারের প্রজ্ঞাপন জারির পর এবার দলটির নিবন্ধন স্থগিত করল নির্বাচন কমিশন।
সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনের পর এ নিয়ে বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশন।
দীর্ঘ বৈঠকের পর রাত নয়টা অনুষ্ঠিত হয় সংবাদ সম্মেলন।
সংবাদ সম্মেলন শেষে নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, তার অঙ্গ সংগঠন ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে। এর ধারাবাহিকতায় নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করা হলো”।
তিনি জানান, এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে সোমবারই গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশন সচিব জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার কারণেই আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত হওয়ার আগে বাংলাদেশে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ছিল ৫০টি।
২০০৮ সালে সেনা সমর্থিত তত্ববধায়ক সরকারের আমলে দল হিসেবে নিবন্ধন পেয়েছিল ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ।
এর আগে বিকেলে সরকারের প্রজ্ঞাপনে আওয়ামী লীগরে কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার পেছনে গত ১৬ বছরে দলটির নানা নেতিবাচক কার্যক্রম ও জুলাই অগাস্টের গণহত্যায় দলটির ভূমিকার কথাও তুলে ধরা হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলনে যায় এনসিপি, ছাত্রশিবিরসহ বেশ কয়েকটি ছাত্র সংগঠন।
প্রথমে প্রধান উপদেষ্টার বাস ভবনের সামনে টানা অবস্থান ও শাহবাগে ব্লকেড কর্মসূচি পালনের পর শনিবার রাতে জরুরি বৈঠকে বসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
ওই বৈঠকে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানায় উপদেষ্টা পরিষদ। ওই সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে সোমবার এই প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।