নিজ গ্রামে সমাহিত সাম্য
ছুরিকাঘাতে নিহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্যকে নিজ বাড়ি সিরাজগঞ্জের বেলকুচির ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়নের সড়াতৈল গ্রামে সমাহিত করা হয়েছে।
বুধবার রাত ১০টার দিকে সড়াতৈল হাফিজিয়া মাদ্রাসা মাঠে জানাজা শেষে গ্রামের কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
ঢাকা থেকে সাম্যের মরদেহ আসার খবরে আগে থেকেই তার বাড়িতে ভিড় করে আশেপাশের এলাকার মানুষ। সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে মরদেহ বাড়িতে পৌঁছালে হৃদয়বিদারক পরিস্থিতি তৈরি হয়। কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা। হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন।
জানাজার আগে সাম্যের চাচা মাহবুবুল আলম বলেন, “কোনোসময় সাম্য কাউকে আঘাত দিত না। আমি মনে করি এই ঘটনা একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।”
জানাজা ও দাফন অনুষ্ঠানে অংশ নেন জেলা বিএনপি ও ছাত্রদল নেতারাও।
জানাজার আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন, “সাম্য মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল। তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, সরকার ও পুলিশ তাকে নিরাপত্তা দিতে পারেনি। আমরা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবি করছে। প্রশাসন এতে ব্যর্থ হলে আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে তা আদায় করতে বাধ্য হব।”
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক আমিরুল ইসলাম খান আলিম, সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা মোস্তফা জামান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি জুনায়েদ হোসেন সবুজ, সাধারণ সম্পাদক সেরাজুল ইসলাম সেরাজ তার জানাজা ও দাফনে অংশ নেন।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতর দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় মঙ্গলবার রাত ১১টার ছুরিকাঘাতে আহত হন সাম্য (২৫)। রাত ১২টার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় বন্ধুরা সাম্যকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক বলেছিলেন, রাতে বন্ধুরা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালটির জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। এরপর চিকিৎসক পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। তার ডান পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।
সাম্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে পড়তেন। ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের এ শিক্ষার্থী এফ রহমান হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। এফ রহমান হলের ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন তিনি।