বোতলকাণ্ডে আটক জবি শিক্ষার্থীকে অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর
বোতলকাণ্ডে অভিযুক্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থীকে ডিবি কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদের পর তার অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটকের পর শুক্রবার (১৬ মে) বিকালে ইশতিয়াক হোসেন নামের ওই শিক্ষার্থীকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) তালেবুর রহমান এ তথ্য জানান।
উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের দিকে বোতল ছুঁড়ে মারা ইশতিয়াক হোসেন নামের ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
এর আগে, শুক্রবার বিকালে যমুনা অভিমুখের কাকরাইল মোড়ে তৃতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এ কর্মসূচিতে জবি শিক্ষার্থীরা ইশতিয়াক হোসেনকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে তদন্ত ব্যতীত কোন পদক্ষেপ নিলে ডিবি কার্যালয় ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে বুধবার রাতে কাকরাইল মসজিদের সামনে যান অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। রাত ১০টার দিকে তিনি সেখানে পুলিশি ব্যারিকেটের সামনে দাঁড়িয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। হঠাৎই তাকে লক্ষ্য করে একটি পানির বোতল নিক্ষেপ করা হয়। বোতলটি গিয়ে উপদেষ্টার মাথায় লাগে। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বোতলকাণ্ড ঘটানো শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়।
তৃতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচিতে উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের উপর প্রতীকী বোতল নিক্ষেপ কর্মসূচি পালন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, তিনটি প্লাস্টিকের ঝুড়িতে ‘সান্ডা মাহফুজ’ লেখা সাঁটিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। এরপর পালাক্রমে শতাধিক শিক্ষার্থী বোতল নিক্ষেপ শুরু করেন।
এছাড়াও, এদিন যমুনা অভিমুখের কাকরাইল মসজিদ মোড়ে গণঅনশন কর্মসূচি শুরু করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (১৬ মে) বিকাল ৩টা ৪৫ মিনিটে অনশন শুরু করেন তারা। অনশন কর্মসূচি শুরুর ঘোষণা দেন জবির শিক্ষক সমিতির মুখপাত্র ও ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মঞ্জুর মোর্শেদ ভূইঁয়া।
জবি শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি হলো- আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করতে হবে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাঁটছাট না করেই অনুমোদন করতে হবে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে এবং শিক্ষকদের ওপর হামলাকারী পুলিশ সদস্যদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।