মাগুরায় শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় হিটু শেখের ফাঁসি, তিনজন খালাস

মাগুরায় চাঞ্চল্যকর শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি হিটু শেখকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে মামলার অন্য তিন আসামিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

আজ (শনিবার) মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।

সরকারপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী সাংবাদিকদের জানান, ‘১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, মেডিকেল এভিডেন্স ও সাক্ষীদের বক্তব্যে প্রধান আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। আশা করেছিলাম, ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে, সেটাই হয়েছে।’

চলতি বছরের ৬ মার্চ বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে আট বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। পরদিন সকালে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ১৩ মার্চ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় শিশুটির মা ৮ মার্চ মাগুরা সদর থানায় ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন।

গত ১৩ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাগুরা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলাউদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ১৭ এপ্রিল মামলাটি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয় এবং ২০ এপ্রিল অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। ২৩ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।

মামলার অভিযোগপত্র অনুযায়ী, শিশুটির বোনের শ্বশুর হিটু শেখের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(২) ধারায় (ধর্ষণের ফলে মৃত্যু) অভিযোগ গঠন করা হয়। শিশুটির বোনের স্বামী ও ভাশুরের বিরুদ্ধে ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং বোনের শাশুড়ির বিরুদ্ধে অপরাধের আলামত নষ্টের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হলেও এ সকল অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পেয়েছেন তারা।

গত ২৭ এপ্রিল মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু এবং ১৩ মে যুক্তিতর্ক শেষে ১৭ মে রায়ের জন্য দিন ধার্য করা হয়।