প্রধান উপদেষ্টা আমাদের সাথে থাকছেন : পরিকল্পনা উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগ নিয়ে দু'দিন ধরে যে জল্পনা-কল্পনা চলছিলো, সেটি নাকচ করে দিয়েছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

আজ শনিবার দুপুরে ঢাকার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে উপদেষ্টা পরিষদের ‘অনির্ধারিত বৈঠক’ শেষে তিনি বলেন, “উনি তো চলে যাবেন- বলেননি। উনি বলেছেন যে, ‘প্রধান উপদেষ্টা আমাদের সাথে থাকছেন। অন্য উপদেষ্টারাও থাকছেন। আমরা যে কাজ করছি, আমাদের উপরে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, সে দায়িত্ব পালনে অনেক প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে; কিন্তু আমরা সকল প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে আমাদের অর্পিত দায়িত্ব, এটা তো বড় দায়িত্ব, এটার ওপর নির্ভর করছে ভবিষ্যৎ, বহু বছরের ভবিষ্যৎ, এ দায়িত্ব ছেড়ে তো আমরা যেতে পারব না।”

দায়িত্ব পালনে যে প্রতিবন্ধকতাগুলো আসছে, আজকের বৈঠকে সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা প্রত্যেকে বিভিন্ন জায়গা থেকে কী প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে, কার কী প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে সংস্কার কাজ আমরা এগিয়ে নিতে গেলে কী হচ্ছে, সেগুলো আমরা দেখছি।”

পরিকল্পনা উপদেষ্টাসহ কয়েকজন উপদেষ্টার পদত্যাগের জন্য বিভিন্ন দলের পক্ষ থেকে যেসব দাবি জানানো হয়েছিল, সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ''আমি জানতে চেয়েছি, এটা কি দলীয়ভাবে এরকম কথা বলা হয়েছে কিনা? মনে হচ্ছে, আমাকে জানানো হবে, এটা দলীয় কোনও মতামত নয়। যদি দলীয় কোনও মতামত হতো, তাহলে...এই সরকার তো সকল গণঅভ্যুত্থানের সকল শক্তির সমর্থনে এই সরকার এসেছে। সেখানে কোনও বিতর্ক সৃষ্টি হোক কাউকে নিয়ে, সেটা তো সমীচীন হবে না।''

''সেরকম কিছু হলে আমরা তো কেউ স্বপ্রণোদিত হয়ে এখানে আসিনি, এই দায়িত্ব খুব উপভোগ্য দায়িত্ব না, সেরকম হলে আমরা যেকেউ পদত্যাগ করতে পারতাম। কিন্তু আমাকে বলা হয়েছে, আসলে দলীয়ভাবে এমন কোনও কথা আসেনি, বরং উল্টোটাই হবে,'' তিনি বলেন।

এদিকে গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এই 'অনির্ধারিত বৈঠক' চলাকালীন 'জরুরি কাজ আছে' বলে বেরিয়ে যান পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তার বেরিয়ে যাওয়ার পরপর উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়াকেও বের হতে দেখা গেছে বলে জানা যায়।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজকের বৈঠকে ১৯ জন উপদেষ্টা অংশ নেন।