সরকারি চাকরিরত ও পেনশনভোগীদের ‘বিশেষ সুবিধা’ কার্যকর
সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধা ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এতে বলা হয়েছে, ১ জুলাই থেকে বেতন গ্রেডভেদে গ্রেড–১ ও তদূর্ধ্ব থেকে গ্রেড–৯ পর্যন্ত ১০ শতাংশ এবং গ্রেড–১০ থেকে গ্রেড–২০ পর্যন্ত ১৫ শতাংশ হারে ‘বিশেষ সুবিধা’ দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (৩ জুন) এক সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ। আরও বলা হয়েছে, এই বিশেষ সুবিধা চাকরিরত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ১ হাজার টাকা ও পেনশনভোগীদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৫০০ টাকা হবে।
জাতীয় বেতন স্কেলের আওতাভুক্ত সরকারি–বেসামরিক, স্বশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলো, ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ও পুলিশ বাহিনীতে নিয়োজিত কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের (পুনঃস্থাপনকৃত) জন্য এই বিশেষ সুবিধা কার্যকর হবে।
সোমবার ২০২৫–২৬ অর্থবছরের বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধা বৃদ্ধির প্রস্তাব করেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। বাজেট বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘২০১৫ সালের পর বেতনকাঠামো না হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এবারের বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধার পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তাব করছি।’
দীর্ঘদিন ধরে সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ‘মহার্ঘ ভাতার বিষয়টি অ্যাকটিভলি কনসিডার করছি। একটা কমিটিকে দায়িত্ব দিয়েছি। তারা এটা নিয়ে কাজ করছে। মহার্ঘ ভাতা হওয়ার চান্স মোটামুটি। হয়তো একটু সময় লাগবে।’
শেষমেশ মহার্ঘ ভাতা নামে নয়, সরকারি কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধা নামে এই অতিরিক্ত ভাতা দেওয়া হচ্ছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) থাকা কর্মচারীরা পিআরএলে যাওয়ার আগপর্যন্ত সর্বশেষ প্রাপ্ত মূল বেতনের ভিত্তিতে বর্ণিত গ্রেডভিত্তিক হারে ‘বিশেষ সুবিধা’ পাবেন। পেনশন পুনঃস্থাপনকৃত কর্মচারীরা সরকার থেকে পেনশন গ্রহণকারী কর্মচারীদের পেনশনের বিদ্যমান অংশের ওপর বর্ণিত গ্রেডভিত্তিক হারে বিশেষ সুবিধা পাবেন।
যেসব অবসর গ্রহণকারী কর্মচারী মোট পেনশনের ১০০ শতাংশ অর্থাৎ সম্পূর্ণ অংশ সমর্পণ করে এককালীন আনুতোষিক উত্তোলন করেছেন এবং এখনো পেনশন পুনঃস্থাপনের উপযুক্ত হননি, তাঁদের ক্ষেত্রে এ বিশেষ সুবিধা প্রযোজ্য হবে না। এ ছাড়া বিনা বেতনে ছুটিতে থাকা কর্মচারীরা এই বিশেষ সুবিধা পাবেন না।